ঢাকা, বুধবার ০৪, ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪:০১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বাংলাদেশ থেকে আরব আমিরাতে চলে যাচ্ছে নারী বিশ্বকাপ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ২০ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দশ দলের অংশগ্রহণে চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে হওয়ার কথা নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় সেই আয়োজন এখন শঙ্কার মুখে। বাংলাদেশের বদলে বিকল্প কোথাও বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবছে আইসিসি। আর সেই বিকল্প হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এমনটি।

মূলত, বাংলাদেশের চলমান অস্থিরতায় নারী বিশ্বকাপের আয়োজক হতে ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছিল আইসিসি। তবে ভারত সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। কেননা, আগামী বছর নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক হচ্ছে দেশটি। তাই এক বছরের ব্যবধানে দুটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে আগ্রহী নয় ভারত। তাছাড়া ভারতে তখন বর্ষার মৌসুম যেটিও নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের পথে বড় বাধা ভারতের জন্য। দেশটির মতো বর্ষাকে কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে আগ্রহী নয় শ্রীলংকাও।

অবশ্য, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে সমস্যা হলো, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এখানে বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছে না আইসিসি। তাই সময় থাকতে আগেভাগেই বিশ্বকাপের আয়োজক প্রস্তুত রাখতে চাইছে তারা। যেন শেষ মুহূর্তে বিপদে পড়তে না হয় আইসিসিকে।

এক্ষেত্রে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন করতে রাজি হয়েছে জিম্বাবুয়ে ও আরব আমিরাত। তবে সব কিছু বিবেচনায় আরব আমিরাতকেই বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে বেছে নিতে পারে আইসিসি। কেননা, আরব আমিরাতে দুবাই, আবুধাবি ও সারজাহ বিশ্বমানের ক্রিকেট ভেন্যু রয়েছে। যেখানে অল্প সময়ের নোটিশে বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব।

তবে বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নারী বিশ্বকাপ আয়োজনকে নিজেদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা আফিস মাহমুদ। 

এ ব্যাপারে বিসিবি ও আইসিসির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। যেকোনো মূল্যে আইসিসিকে আশ্বস্ত করে নারী বিশ্বকাপ বাংলাদেশের মাটিতে আয়োজন করতে চান তিনি। এই লক্ষ্যে এখন জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই বাংলাদেশকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে আইসিসি।