ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ০:৪৫:০৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বরিশাল সিটি নির্বাচন : ডা. মনীষাসহ ৪ প্রার্থীর ভোট বর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:৩০ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার

নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মেয়রপ্রার্থী মনীষা চক্রবর্তীসহ চারটি দলের প্রার্থীরা। মনীষাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

ভোট বর্জন করা  অন্য তিনজন হলেন, ইসলামী আন্দোলনের ওবাইদুর রহমান, বিএনপির মজিবর রহমান সরোয়ার ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ। আজ সোমবার দুপুরে তারা পৃথকভাবে এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।




বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের মনীষা চক্রবর্তী সমর্থকদের নিয়ে ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না মানব না’, ‘ভোট চুরির নির্বাচন মানি না মানব না’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বরিশাল সদর রোডে পৃথকভাবে মিছিল করেন।

 

এ সময় মনীষা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি সদর গার্লস স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখেন। প্রতিবাদ করলে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। অভিযোগ জানানোর পরও এই কেন্দ্রে নির্বাচন এখনো চলছে। এই কেন্দ্রের মতো সব কেন্দ্রেই নৌকায় সিল মারা হচ্ছে।


জেলা বাসদ সভাপতি ইমরুল হাকিম রুমন জানান, পৌনে ১০টার দিকে ডা. মনীষা চক্রবর্তীসহ সদর গার্লসকেন্দ্রে গেলে তিনি দেখেন ব্যালটে আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রকাশ্যে সিল মারছে। তাৎক্ষণিক রিটার্নিং অফিসারকে সংবাদ দেন তিনি।

 


এ সময় জালভোটের প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের দুই কর্মী মনীষাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

 

এদিকে, বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার।

 


সরোয়ার বলেন, আমি চারবার সাংসদ ও একবার মেয়র ছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকারের আমলেই এমন নজিরবিহীন ভোট আমরা দেখিনি। এমন প্রহসনের নির্বাচন না করে এমনিতেই ঘোষণা দিয়ে নিয়ে যেতে পারত সরকার।

 


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, এখানে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় প্রার্থী। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসে আমরা আশ্বস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের আগের আশঙ্কাই আজ ঠিক হলো।’

 


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। 

 

এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের ওবাইদুর রহমানও সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে নানা রকম স্লোগান দিয়ে বরিশাল সদর রোডে মিছিল করেন।

 

 

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন ১২৩টি কেন্দ্রর সবগুলোতে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট স্থগিত করে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই আহ্বান জানান।

 


হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এবার সিটি করপোরেশন এলাকায় ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ এবং নারী ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৭৩০। এই সিটি করপোরেশনের চতুর্থ নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

 



নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ১২৩টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭৫০টি। এর মধ্যে ১১টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ চলছে। ১২৩টি কেন্দ্রের ১১২টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নগর পুলিশ।