ঢাকা, শুক্রবার ০৮, নভেম্বর ২০২৪ ১৬:১৩:৫৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের 

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৫৩ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে এ আশ্বাস দেন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে আনন্দিত যুক্তরাষ্ট্র। আগামী দিনগুলোতে ঢাকা ও ওয়াশিংটন আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

এসময় ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস চলতি সপ্তাহে কনস্যুলার সেবা পুনরায় চালু করবে বলেও আশ্বাস দেন হেলেন লাফেভ।

ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, আইনের শাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে বর্তমান সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করেন হেলেন লাফেভ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন শুরু করেছে।

মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আরও বলেন, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ফলে রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বেড়েছে। এরপর ড. ইউনূসের প্রতি রোহিঙ্গাদের জীবিকার সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।

এসময় পাশে থাকার জন্য ওয়াশিংটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বহুমাত্রিক সহায়তার ক্ষেত্রে কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসরত দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো।’ পাশাপাশি বাংলাদেশে বন্যাদুগর্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দাতাগোষ্ঠীকে একটি ‘কমন প্ল্যাটফর্ম’ গঠন এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকার আমূল সংস্কার কার্যক্রম সম্পাদনের দায়িত্ব নিয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘একটি যৌক্তিক সময় পরে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

সাক্ষাতে হেলেন লাফেভ বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের বিষয় নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক ‘সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত’ এবং অন্তর্বর্তী সরকার সব নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এ সময় মানবাধিকার ইস্যু, সাইবার সিকিউরিটি আইন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বিভিন্ন পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জানান, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে তাদের সরকার বাংলাদেশে একটি প্রসিকিউটোরিয়াল সার্ভিস স্থাপনে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।