ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৫৬:০৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

যেসব ভুলে নারীর হৃদরোগ ঝুঁকি বাড়ে

স্বাস্থ্য ডেস্ক    

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৬ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হৃদয়ের যত্ন নেওয়া খুব দরকার। হার্ট বা হৃদয় শরীরের এতটাই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যে, এটি রক্তকে পাম্প করে শরীরের প্রতিটি অংশে পৌঁছে দেয়। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত নিজের হার্টের খেয়াল রাখা।

তবে পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে হৃদরোগের উপসর্গগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পৃথক হয়। বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৬৪ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায় না। নারীদের ক্ষেত্রে মূলত দেখা যায় ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, কাঁধ ও ঘাড়ে ব্যথার মতো উপসর্গ। কিছু ভুলের কারণে নারীর হৃদরোগ ঝুঁকি বাড়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী।

যেসব নারীরা ধূমপান করে থাকেন তাদের হৃদরোগর আশঙ্কা বেশি থাকে
যেসব নারীরা একই সঙ্গে জন্মবিরতিকরণ পিল ও ধূমপান করে থাকেন তাদের হৃদরোগর আশঙ্কা বেশি থাকে। বিশেষ করে যাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি, তাদের ঝুঁকিটাও থাকে বেশি। ধূমপান বন্ধ করে দিলে হৃদরোগর আশঙ্কা কমে শতকরা আশি ভাগ।
নিয়মিত মদ্যপান বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগর ঝুঁকি। উচ্চরক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত ওজনের মতো সমস্যা ডেকে আনে অতিরিক্ত মদ্যপান, যা সংবহনতন্ত্রের জন্য মোটেও ভালো নয়।
যেসব নারীরা ব্যস্ততার কারণে শরীরচর্চা করতে পারেন না, তাদের প্রতিদিন অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটতে হবে

নারীরা সারাদিনে অনেক দায়িত্ব পালন করেন। যার জন্য ব্যায়াম করার সুযোগ পান না। পর্যাপ্ত শরীরচর্চার অভাবও সংবহনতন্ত্রের সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা শরীরচর্চা করা উচিত। যারা শরীরচর্চা করতে পারেন না, তাদের প্রতিদিন অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটতে হবে।
নারীরা নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি তেমন খেয়াল করেন না। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ও উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। বাহ্যিক উপসর্গ না থাকলেও এই বিষয়গুলো নজরে না রাখলে ঘটতে পারে বিপদ। যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে, তাদের নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। 
সংসার জীবন হোক আর কর্মক্ষেত্র—নারীদের অনেক রকম দুশ্চিন্তা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
সংসার জীবন হোক আর কর্মক্ষেত্র—নারীদের অনেক রকম দুশ্চিন্তা করতে হয়। তারা একাধিক সমস্যা নিজেদের মনে ও শরীরে বয়ে চলেন। এসব কারণে শরীরে এমন কিছু হরমোনের আবির্ভাব হয় যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। এ ছাড়া ঠিকমতো ঘুম না হওয়াও বড় অনুঘটক হতে পারে হৃদরোগের। তাই সুস্থ থাকতে ৭/৮ ঘণ্টার শান্তির ঘুম খুব প্রয়োজন।