কক্সবাজারে প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় পর্যটকদের স্বস্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৫৮ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রবিবার
সংগৃহীত ছবি
দুইদিনের ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। বেলা ১১টার দিকে শহরের প্রধান সড়ক, কলাতলী হোটেল মোটেল জোনের সড়কগুলো থেকে পানি পুরোপুরি সরে গেছে। এতে দুইদিন ধরে হোটেল কক্ষে আটকে থাকা পর্যটকের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। দল বেঁধে তাঁরা ছুটছেন সমুদ্রসৈকতে।
দেখা গেছে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে কয়েক হাজার পর্যটককে বালুচরে দাঁড়িয়ে উত্তাল সাগর উপভোগ করছে। কেউ-কেউ মুঠোফোনে ছবি তুলছিলেন। কেউ বা আবার ঘোড়ার পিঠে ও বিচ বাইকে চড়ে এদিক-সেদিক ছুটছিলেন। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৈকতের কয়েকটি অংশ ভেঙে গেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও কোনো-কোনো পর্যটক সমুদ্রের পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন। সি-সেফ লাইফগার্ডের কর্মীরা বাঁশি বাজিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করছেন। কিন্তু সেদিকে কারও খেয়াল নেই।
একইভাবে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট অন্তত ১০ হাজার পর্যটকের সমাগম। পাশের সিগাল ও লাবণী পয়েন্টেও কয়েক হাজার পর্যটকের দৌড়ঝাঁপ দেখা গেল। সব মিলিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ৩০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা নারী উদ্যোক্তা তাহমিনা ছিদ্দিকা বলেন, দুইদিন ধরে পরিবার নিয়ে হোটেল কক্ষে আটকে ছিলাম। বৃষ্টির জন্য কোথাও যাওয়া হয়নি। আজ (শনিবার) সকালে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সৈকতে এসেছি। হালকা বৃষ্টির সঙ্গে উত্তাল সমুদ্রের বিরূপ প্রকৃতি দারুণ উপভোগ্য।
কুমিল্লা থেকে আসা ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, হোটেল মোটেল জোনের প্রধান সড়ক থেকে পানি সরে গেলেও শহরের ভেতরের কয়েকটি উপসড়কে কাদা মেশানো ময়লা পানি জমে আছে। এসবের উপর দিয়ে পর্যটকদের হোটেল থেকে সৈকতে নামতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি কমে গেছে। সড়কের পানিও নেমে গেছে। পর্যটকদের মনে স্বস্তি ফিরেছে। হোটেল কক্ষে আটকে পড়া পর্যটকেরা এখন সৈকতমুখী। পর্যটক টানতে শহরের ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোর কক্ষ ভাড়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারে পানিবন্দী মানুষের জন্য ৪৫ টন চাল ও বিপুল শুকনা খাবার বরাদ্দ হয়েছে জানিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজ চলছে। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক চারটি দল মাঠে কাজ করছে।