ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:২০:২৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভারী বর্ষণে নড়াইলে মৎস্য ও কৃষিতে ৭০ কোটি টাকার ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫৬ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নড়াইলে গত তিনদিনের টানা বর্ষণে জেলার অধিকাংশ  মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে ঘের ব্যাবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।এছাড়া ও রোপা আমন ,আউশ ,শাক সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ফলে মৎস্য ও কৃষি  খাতে প্রায় ৭০কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে ।
গত শনি, রবি ও সোমবারে তিন দিনের ভারী বর্ষণে নড়াইল জেলার মৎস্য চাষিদের মাথায় হাত উঠেছে। সহায় সম্বল বিক্রি করে মাছ চাষ করেছিলো, টানা বর্ষণের ঘের ভেসে যাওযায় দিশে হারা হয়ে পড়েছে ব্যাবসায়ীরা। বিশেষ করে সদরের মির্জাপুর, বিছালী, পৌরসভার বাহিরডাঙ্গা, কালিয়া, লোহাগড়ার অধিকাংশ নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এত করে অনেক ঘের ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়েগেছে।
ঘের ব্যবসায়ী সোহান শেখ বলেন, আমার ১৫ একর জমির ১৪টি ঘের ছিলো। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সবগুলো তলিয়েগেছে। এতে আমার প্রায় ৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি একেবারে নিঃস্ব হয়েগেলাম।
আব্বাস জমাদ্দার বলেন, আমার ঘেরের সব মাছ বের হয়েগেছে, ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়েগেছি।
ঘের ব্যবসায়ী শামীম আতিক মহিদ বলেন, আমার ২টি ঘেরে মাছ ছিলো বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। আমার ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ঘের ব্যবসায়ী বাবুল শেখ বলেন, আমার ৬টি ঘের রয়েছে ১০ একর জমির। একটিতে সাদামাছ, কৈ মাছ, শিংমাছ, তেলাপিয়া মাছের চাষ করা হয়েছিলো। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সবগুলো তলিয়েগেছে। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ২৪ হেক্টর রোপা আমন, ৩ হেক্টর আউশ ১০ হেক্টর সবজিসহ মোট ৪৮ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আশেক পারভেজ বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জেলায় ধান-সবজিসহ ৪৮ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ২ হাজার ২’শ ৬০জন কৃষক ক্ষাতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে এক কোটি ৬৬ লক্ষ ২২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, জেলায় গত তিন দিনের ভারী বর্ষণে দুই হাজার চারশত পুকুর ও এক হাজার পাঁচশত সাতচল্লিশটি মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের ৬৮ কোটি ৮৩ লাখ ১০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।