ঢাকা, শুক্রবার ২২, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০৬:০৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরতে বাধ্য করার চেষ্টা,২ শিক্ষক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩৬ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রংপুরে হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করার চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেছে। এ বিক্ষোভের জেরে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শহরের দাসপাড়ায় মোসলেম উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফিজুর রহমান ও ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও মোসলেম উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মোসলেম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক হিন্দু সম্প্রাদায়ের ছাত্রীদের হিজাব পড়ার কথা বলেছিলেন বা গীতা পাঠের বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলেছিলেন। এ নিয়ে স্কুলে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিলো। তাই এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। তারপর তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে হিন্দু ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকসহ অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের পদত্যাগ ও শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় তাদের অভিভাবকেরাও উপস্থিত ছিলেন। এই বিক্ষোভের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনার সময় ওই স্কুলে উপস্থিত ছিলাম। সেই সঙ্গে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সভায়ও উপস্থিত ছিলাম। এলাকার পরিস্থিতি এখন ভালো রয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান শিক্ষকসহ দুজনের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সেখানে হিজাব পরতে বাধ্য করার অভিযোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগকারী ছাত্রীরা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘গতকাল স্কুলের উদ্ভূত পরিস্থিতি জানার পর আমি ওই স্কুলে ছুটে যাই। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে বসেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও ধর্ম বিষয়ের শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এরপর সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত হয়।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে প্রধান শিক্ষক মোফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।