ঢাকা, শুক্রবার ২২, নভেম্বর ২০২৪ ৪:৪৯:২৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শেরপুরে বন্যার উন্নতি, বাড়ি ফিরছেন আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ১০ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যার উন্নতি হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় ভেসে উঠছে ধ্বংসযজ্ঞ। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ঘর স্যাঁতসেঁতে অবস্থা ও কাদাপানিতে একাকার হয়ে থাকায় এবং চুলায় পানি ওঠায় রান্নাবান্না করতে পারছেন না তারা। এর মধ্যে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত ঘর মেরামত করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে হতদরিদ্র মানুষ।

রাস্তাঘাটের অবস্থাও খারাপ; খানাখন্দে ভরে গেছে। কোথাও এখনও পানি জমে আছে। ক্ষেতের ফসল ডুবে নষ্ট হওয়ায় আগামী দিনে কীভাবে চলবেন, সে চিন্তায় দিশেহারা কৃষক।

জেলার পাহাড়ি চারটি নদীর পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। এসব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, দশানি ও মৃগী নদীতে। পানি বৃদ্ধি পেলেও এসব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচেই রয়েছে।

গতকাল বুধবার পানিতে ডুবে শেরপুর সদরের চান্দেরনগরে তমির উদ্দিন (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় বন্যার কারণে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১২জন।

জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যেই বাড়ি ফিরেছেন বানভাসিরা। রাস্তাঘাট কাদা, ভাঙ্গা ও ক্ষতবিক্ষত হওয়ায় দুর্যোগ চরমে। লোকালয় থেকে পানি সম্পূর্ণভাবে নেমে না যাওয়ায় এখনো খাদ্য সঙ্কট রয়েছেন বন্যাদুর্গত মানুষেরা।

বন্যাদুর্গত এলাকায় সেনাবাহিনী, র‍্যাব, রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

জামালপুরের র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১–এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বন্যার্তদের উদ্ধার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা হচ্ছে। রান্না করা খাবারও দেয়া হচ্ছে। বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাদের পাশে আছি।