কেমন আছেন নোবেলজয়ী সু চি?
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ রবিবার
অং সান সুচি। পুরোনো ছবি
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে রাজবন্দীদের ইচ্ছাকৃতভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ অক্টোবর বিনা চিকিৎসায় কারাগারে মারা গেছেন রাজনৈতিক দল মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) ভাইস চেয়ারম্যান। অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক জান্তার কারাগারে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। এ পরিস্থিতিতে নানা জটিলতায় ভোগা কারাবন্দী অং সান সু চির স্বাস্থ্য নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এনএলডির নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে জান্তা সরকার। অভ্যুত্থানের পরদিন গ্রেপ্তার হয় এনএলডির ভাইস চেয়ারম্যান যাও মিন্ট মং। তাকে দেওয়া হয় ২৯ বছরের কারাদণ্ড।
২০১৯ থেকে লিউকেমিয়া রোগে আক্রান্ত মিন্ট মং। অপর্যাপ্ত চিকিৎসায় ৭ অক্টোবর মারা গেছেন তিনি। মং ছাড়াও সামরিক কারাগারে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন এনএলডি নেতার। এবার প্রশ্ন উঠেছে মিয়ানমারের সাবেক স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির শারীরিক অবস্থা নিয়ে।
১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি ভোগ করছে সামরিক সরকারের দেওয়া ২৭ বছরের কারাদণ্ড। ৭৯ বছর বয়সী সু চি ভুগছেন নিম্ন রক্তচাপ ও দাতের মাড়ির সমস্যায়। জান্তার সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট ভুগছেন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, হাইপোথাইরয়েডিজম ও প্রসটেটিসে। বয়স্ক এসব নেতাদের কেউই পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত চিকিৎসা।
এ নিয়ে মিয়ানমারের অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের সদস্য কো বো কি বলেন, রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে এনএলডির নেতাদের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে জান্তা সরকার। ক্ষমতায় থাকার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করতে গণতন্ত্রপন্থী নেতাদের পরোক্ষভাবে হত্যা করছে সামরিক সরকার।
কারাবন্দী নেতাদের ওপর জান্তার এমন নির্মমতার নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে সামরিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানে উৎখাত হয় মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারের। এরপর থেকে এনএলডির নেতাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডাদেশ দেয় সামরিক জান্তা। এ পর্যন্ত জান্তার কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬৩ জন এনএলডি নেতার।