ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১, নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৩:২২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠলে কী খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক 

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৯ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

হারানো স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য বিশ্রাম এবং সঠিক খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।ডেঙ্গু  জ্বর চলাকালে ডায়েট বা সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা যেমন জরুরি ঠিক তেমনি, ডেঙ্গু  জ্বর-পরবর্তী খাদ্য ব্যবস্থা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  
ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর শারীরিক শক্তি ও পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করা খুব জরুরি।  
l ডেঙ্গু জ্বর-পরবর্তী খাদ্য হিসেবে প্রোটিন,  ভিটামিনস,  মিনারেল ও তরল খাবার খাওয়া খুব জরুরি। প্রোটিন রক্ত গঠন ছাড়াও কোষের সুস্থতার জন্য একটি জরুরি পুষ্টি উপাদান।  মুরগির স্যুপ, ডিম, পাতলা দুধ বা ছানা,  দই, মাছ ইত্যাদি খাবার থেকে আসে প্রোটিন।
 ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পর রোগীর শরীরে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। জাউ বা স্যুপী তরল খাবারের বড় সুবিধা হলো, এটি হজম করা খুব সহজ, রোগীকে অতিরিক্ত খাওয়ানোর পরও ভারী এবং বমি বমি অনুভব হয় না। মুরগির সঙ্গে সবজির পাতলা স্যুপ করে খেলেও তরলের চাহিদা পূরণ হয়, প্রোটিন ও ভিটামিন পাওয়া যায়। স্যুপ খেলে দুর্বলতা কমে।
l ভিটামিনযুক্ত খাবার শরীরের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ডেঙ্গু  জ্বর-পরবর্তী সময়ে খুব জরুরি।  
l তাজা ফলের রস (চিনি ছাড়া),  ডাবের পানি,  আখের গুড়ের শরবত,  ফ্রেশ ফল, ফলের স্মুদি যে কোনোভাবে ফল খেলে তা থেকে এনার্জি পাওয়া যায়। ফলের পটাশিয়াম, খাদ্য আশ,  ভিটামিন সি ও অনান্য ভিটামিনস পাওয়া যায়। বেদানা অনেক উপকারী ফল, ডেঙ্গু জ্বর চলাকালে এবং পরবর্তী সময়ে নিয়মিত বেদানা খেলে উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া মালটা, কমলা, পাকা পেঁপে, কলাও খেতে হবে নিয়মিত। রঙিন ফল স্কিন ও চুলের রিকভারিতেও খাওয়া জরুরি।  
l ভিটামিন কে, ই, এ সমৃদ্ধ শাক-বজি ব্রুকলি, পালংশাক,  পেঁপে,  ছাড়াও গাঢ় সবুজ রঙের সবজি ডেঙ্গু  জ্বর চলাকালে এবং পরবর্তী সময়ে খুব উপকারী। স্যুপ করে, জুস করে অথবা মাছ দিয়ে পাতলা ঝোল করে খেতে পারেন।  
l ডেঙ্গু জ্বর থেকে সেরে উঠতে পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তরল খাবারগুলো শরীর দ্বারা দ্রুত শোষিত হওয়ার সুবিধা রয়েছে, উভয়ই রিহাইড্রেটিং এবং দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে।  রস বা জুস বিশেষ করে সাইট্রাস ফল বা টক ফলশরীরের গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সেরা উৎস। কমলালেবু বা লেবু জাতীয় ফল পুষ্টি ও ভিটামিনে পূর্ণ, যার মধ্যে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ভিটামিন সি, অন্ত্রবান্ধব এবং ফাইবার যা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। ডাবের পানি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও লবণের উৎস। ফলের রস রোগীদের স্বাভাবিক ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রাখতে, উচ্চ জ্বরের কারণে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে এবং শরীরের দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে।
l  রোগীকে এড়ানো উচিত যার মধ্যে রয়েছে– প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজা খাবার, মসলাদার চটকদার খাবার,অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন– চা, কফি, অ্যালকোহল ইত্যাদি।