৩৫ বছর পর প্রথমবার নির্বাচনে প্রিয়াংকা গান্ধী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৬:৪৪ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার
কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধী।
ভারতের কেরালার রাজ্যের ওয়াইনাড়ে উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধী। এই আসনে এবার লোকসভা নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তার ভাই রাহুল গান্ধী।
এ ছাড়া উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি আসনে নির্বাচিত হয়েছেন রাহুল। নিয়ম অনুযায়ী একটি আসন রেখে বাকি আসন ছেড়ে দিতে হয়। তিনি ওয়াইনাড়ে আসন ছেড়ে দেন। এতে এই আসনে প্রিয়াংকার জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়ে যায়।
এখানে উপনির্বাচন আগামী ১৩ নভেম্বর। এদিন লোকসভার মোট ৪৮টি আসনে উপনির্বাচন হবে। ভোট গণনা হবে ২৩ নভেম্বর।
এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রিয়াংকা। মা সোনিয়া গান্ধী, ভাই রাহুলকে নিয়ে এক মঞ্চে বক্তব্য রেখেছেন তিনি। বলেছেন, ৩৫ বছর ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। এবারই প্রথম তিনি নিজের সমর্থনের জন্য জনতার সামনে এসেছেন।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, লোকসভার আসন্ন এই উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে ওয়াইনাড়ে এক জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সুযোগ দেয়ার জন্য তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাগড়েকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আমার বাবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী জন্য যখন প্রচারণা চালিয়েছি, তখন আমার বয়স ছিল ১৭ বছর। এরপর মায়ের জন্য, আমার ভাইয়ের জন্য এবং অনেক সহকর্মীর জন্য প্রচারণা চালিয়েছি। ৩৫ বছর ধরে বিভিন্ন নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এবার প্রথমবার আমি নিজের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছি। আপনাদের সমর্থন চাইছি। এই অনুভূতিটা খুবই অন্যরকম। যদি আমাকে সুযোগ দেন, তাহলে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তা হবে আমার জন্য সম্মানের।
প্রিয়াংকা গান্ধী জানান, তিনি এবং রাহুল গান্ধী ওয়াইনাড়েতে ভয়াবহ ভূমিধসের পর মুন্দাকাই এবং চুরালমালা সফর করেছেন। ভূমিধসে সেখানে কমপক্ষে ৪০০ মানুষ মারা গেছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার।
প্রিয়াংকা আরও বলেন, নিজের চোখে দেখেছি সেখানকার ধ্বংসযজ্ঞ। পরিবার হারানো শিশুদের দেখেছি। সন্তানহারা মায়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এমন সব মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, যাদের জীবনের সবটুকু ধুয়েমুছে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, একটি বিষয় আমার দৃষ্টি কেড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিজন মানুষ একে অন্যকে সাহায্য করছে। সাধারণ মানুষ সাহায্য করছে। অনুপ্রেরণা নিয়ে তারা একে অন্যকে সমর্থন করছে।