ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৩১, অক্টোবর ২০২৪ ৭:২৮:২৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দিনাজপুরে আগাম জাতের আলু চাষ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫৯ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দিনাজপুর জেলার ১৩ টি উপজেলায় আগাম জাতের আলু চাষ শুরু হয়েছে । এ পর্যন্ত সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা আলুর বীজ রোপণ করেছে। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথমে বাজারের নতুন আলু উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া এ  তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, এবারে জেলায় ৪৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যেও আগাম জাতের আলু চাষ হবে ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলাতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা আগাম জাতের আলু বীজ রোপণ শেষ করেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আগাম জাতের আলুর বীজ রোপণ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী  সম্পন্ন হয়ে যাবে। কৃষকরা প্রতিযোগিতা করে আগাম জাতের আলু চাষ করে থাকেন। যে কৃষকের ক্ষেতের আলু আগে বাজারে উঠাতে পারবে, ওই কৃষক ভালো দাম পাবে। ভালো দাম পাওয়ার আশায় কৃষকরা আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি আমন ধান কর্তন করে ওই জমিতে পুনরায় আলু চাষের জন্য প্রস্তুত করে, আগাম জাতের আলু বীজ রোপণ করেছে। অনেক কৃষকের আলুর বীজ লাগানো প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন হয়ে গেছে। তাদের আলুর একটু গাছ বড় হয়েছে। সারিবদ্ধ ভাবে গাছের গোড়া মাটি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাংলা নবান্নের অগ্রহায়ণের প্রথমেই নতুন আলু দিয়ে নবান্ন উৎসব হবে বলে অনেক আলু চাষী আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।

দিনাজপুর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম বলেন, এবারে আলুর বীজ সার কীটনাশক ও মজুরীর দাম বেড়ে যাওয়ায়  আগাম আলু চাষে ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তবু   কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন। চাষাবাদে ব্যয় বাড়লেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্বল্প মেয়াদী আগাম আমন ধান ঘরে তুলে ওই জমিতে আলুর জন্য হাল চাষ,পরিচর্যা, সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ ও রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।

কৃষি বিভাগের সূত্রটি জানায়, জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায় প্রতি বছর আলুর চাষ ও উৎপাদন বেশি হয়। এখনও আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ না হলে, চাষীরা তাদের আবাদি জমি গুলো ফেলে না রেখে আগে ভাগেই আলু চাষ শুরু করেছেন। আগাম জাতের আলু উত্তোলন করে ওই জমিতে আবার বিভিন্ন ধরনের রবি মৌসুমের শাক-সবজি চাষ করবেন।এভাবেই এখন কৃষকেরা কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে উঁচু জমি গুলোতে বছরের ৩ থেকে ৪ টি ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সবজি জাতীয় ফসল চাষ করে এ অঞ্চলের কৃষকেরা অধিক মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।