ঢাকা, শনিবার ২৮, ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৫২:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নাগালের বাইরে ইলিশের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ৯ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু হলেও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ইলিশের দাম। বলা হচ্ছে- সরবরাহ কম থাকায় দামও অনেক বেশি। আকার ভেদে প্রতি কেজি ইলিশের দাম বেড়েছে কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পাঁচ দিন পরেও দাম বেশি থাকায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

 এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন সাগরের মাছ না আসা এবং নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় দাম বেশি। শুক্রবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বাগেরহাটের হাট-বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৬০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ এক হাজার, তিন/চার টিতে কেজির মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং পাঁচ থেকে ছয় টিতে কেজির মাছ বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    ইলিশের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারে থাকা অন্য মাছের ওপর। অন্যান্য মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও, দাম কমেনি একটুও। বরং, ভেটকি, রুই, কাতলা, চিংড়ি ও ট্যাংরা মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ভেটকি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে, রুই, কাতলা, মৃগেল, গাস কার্পসহ বিভিন্ন কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। হরিণা, চাকা ও চামি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। তবে পাঙাশ ও তেলাপিয়া আগের দাম অর্থাৎ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সব পণ্যের মত মাছের দাম নাগালের বাইরে থাকায় টুকরো করে মাছ বিক্রির দাবি জানিয়েছেন সচেতন ভোক্তারা। এক ক্রেতা বলেন, অবরোধ শেষে ইলিশ কিনতে আসছিলাম। কিন্তু দাম অনেক, তাই রুই মাছ কিনলাম। আর কিছু ছোট ইলিশ কিনেছি। যে অবস্থা বেশিরভাগ মানুষ ইলিশ খেতে পারবে না।

   বাগেরহাট মাছ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল সালাম বলেন, ইলিশের দাম আগের তুলনায় বেশি। ২২ দিনের অবরোধ শেষ হলেও জেলেরা সাগরের মাছ পাচ্ছেন না। সাগরে ডাকাতের প্রভাবও বেড়েছে। এখন বাজারে যে ইলিশ দেখছেন এগুলো সব পাশের জেলা বরিশালের বেকুটিয়াসহ বিভিন্ন নদীর মাছ। তাই দাম একটু বেশি। সাগরের মাছ আসা শুরু করলে দাম কমবে বলে দাবি করেন তিনি। বাগেরহাটের প্রধান সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজারে কোনো ট্রলার আসেনি। যার কারণে কেবি বাজারে হিমায়িত সাগরের মাছ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান কেবি বাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ আবেদ আলি। তাই ইলিশের বেচাকেনা নেই, আমরা শুধু হিমায়িত মাছ বিক্রি হচ্ছে।