ঢাকা, রবিবার ১৭, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৮:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আশা জাগিয়েছে ব্রি ধান-১০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আমন ধানে নতুন আশা জাগিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত ব্রি ধান-১০৩। স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন এ ধানের জাতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম। এ জাতটি বিদ্যমান জাতের তুলনায় বিঘাপ্রতি ১ থেকে ২ মণ বেশি ফলন দিয়েছে। খড়ের উৎপাদনও বেশ ভালো। আমন মৌসুমে সব চেয়ে বেশি ফলন দিতে সক্ষম চিকন নতুন এ জাতের ধান কৃষকের মাঠে চাষাবাদে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আশার আলো জাগিয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রোমেল বিশ্বাস বলেন, ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্রি উদ্ভবিত উচ্চ ফলনশীল এবং হাইব্রিড ধান নিয়ে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলায় কাজ করা হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে ৩ জেলায় ব্রি ধান-১০৩ এর প্রদর্শনী প্লট করা হয়। গোপাগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশী গ্রামের কৃষক এসএম লিয়াকত শেখের জমিতে উৎপাদিত ধান কেটে পরিমাপ করে দেখা গেছে, প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশ) এ ধান ২১ মণ ফলন দিয়েছে। বাগেরহাট ও নড়াইল জেলায় এ ধান আশানুরূপ ফলেছে। তাই আমন মৌসুমে দেশের ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের আর্থসামাজিক অবস্থার বিপ্লব ঘটাবে ব্রি ধান-১০৩।

তিনি  আরও বলেন, ব্রি ধান-১০৩ এ আধুনিক উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ধানের দানা লম্বা ও চিকন। ১ হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩ দশমিক ৭ গ্রাম। এ ধানের প্রোটিন এবং অ্যামাইলোজের পরিমাণ যথাক্রমে ৮.৩ শতাংশ এবং ২৪ শতাংশ। প্রতি হেক্টরে এ জাতটির গড় ফলন ৬ দশমিক ২ টন। গোপালগঞ্জে ফলেছে ৬ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে প্রতি হেক্টরে ৭ দশমিক ৯৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের ধান গাছের গড় জীবনকাল ১৩০ দিন (১২৮-১৩৩ দিন)। ২০২২ সালে এ ধানের জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। এ বছর কৃষকের মাঠে আমন সৌসুমে এ ধান সবচেয়ে বেশি ফলন দিয়েছে। এ ধান চাষাবাদ করে কৃষক ১ ফসলী জমিকে ২ ফসলী ও ২ ফসলী জমিকে ৩ ফসলী জমিতে পরিণত করতে পারেন। ফসলের নীবিড়তা বৃদ্ধি করে কৃষক লাভবান হবেন।