ঢাকা, বুধবার ২৭, নভেম্বর ২০২৪ ০:২৫:৩২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কোলকাতায় প্রতারকের ফাঁদে বাংলাদেশি দুই পর্যটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার

বাংলাদেশের বাসিন্দা ইয়ানা

বাংলাদেশের বাসিন্দা ইয়ানা

দূরপাল্লার ট্রেন। সহযাত্রীদের সঙ্গে গল্প জমেছিল বেশ। চা হাতে নিয়ে এই দেশ, ওই দেশ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হল। তারপর নিজের বার্থে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন দুই বাংলাদেশি। জ্ঞান যখন ফিরল, তখন তারা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। সহযাত্রীর ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’য় সর্বস্ব খুইয়ে মাথায় হাত দুই বাংলাদেশি পর্যটকের! সাহায্যের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

গত ২৪ নভেম্বর শিলিগুড়ি যাবেন বলে শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন বাংলাদেশের বাসিন্দা ইয়ানা এবং তার ভাই। ট্রেনে তাদের সিট ছিল ‘আরএসি ৬৩’। 

ইয়ানা  জানান, ‘আরএসি ৫৭’-র দুই সহযাত্রী তাদের সঙ্গে অনেক গল্প করেন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজ নেন। রাজনীতি থেকে সংসারের টুকিটাকি, নানা কথা বলছিলেন তারা। রাত গভীর হলে ঘুমিয়ে পড়েন সবাই।

বাংলাদেশি পর্যটক ইয়ানা বলেন, ‘রাত ৩টা নাগাদ আমাদের ঘুম থেকে তুলে দেন ওই দু’জন। ডেকে বলেন, তারা এখনই নেমে যাবেন। তারা বলেন, আমাদের কেউ একজন চাইলে তাদের সিটে গিয়ে আরাম করে ঘুমিয়ে পড়তে পারি। তারপর আমাদের চা খেতে দেন। নিমরাজি হলেও তাদের জোরাজুরিতে কাপটা হাতে নিই। চা খেয়ে সিটে গিয়ে ব্যাগপত্র মাথার কাছে রেখে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপর আর কিছু মনে নেই। যখন জ্ঞান ফিরল, জানলাম শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে শুয়ে রয়েছি!

ইয়ানার সঙ্গে তার ভাইও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের নেশাজাত কোনও জিনিস খাওয়ানো হয়েছিল বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

অন্যদিকে, বিদেশবিভুঁইয়ে এসে দুজনে সব জিনিসপত্র খুইয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইয়ানা। 

তিনি বলেন, আমার হাতে সোনার ব্রেসলেট ছিল, ব্যাগে প্রায় ৭ হাজার টাকা ছিল। তা ছাড়া কিছু বিদেশি মুদ্রা রেখেছিলাম। আমার ভাইয়ের কাছে প্রায় ১০ হাজার টাকা ছিল। সে সব লুট হয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, আমরা তো সর্বস্ব খুইয়েছি। কোনও প্রকারে আমাদের বেনাপোল সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করুন। তা হলে আমরা দেশে ফিরে যেতে পারি।

শিলিগুড়ি জিআরপির এসপি কুনওয়ারভূষণ সিংহ জানিয়েছেন, বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন। খড়্গপুর জিআরপির সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে।