ঢামেকে ডেঙ্গুরোগীর চাপ থাকলেও নেই চিকিৎসা সংকট
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৪৪ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত রোগী। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এরই মধ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসাসেবাও কোথাও কোথাও ঘাটতি বা ওষুধপত্রের অপর্যাপ্ততার তথ্য মিলছে। তবে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কোনো ধরনের চিকিৎসা সংকট নেই। স্যালাইন ও ওষুধপত্রসহ অন্য সরঞ্জামাদিও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। যদিও সেখানে বিশেষায়িত ওয়ার্ডে রয়েছে রোগীর চাপ।
সারাদেশ থেকে আসা ডেঙ্গুরোগীদের সেবা দিতে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের চার তলায় স্পেশালাইজড ডেডিকেডেড ডেঙ্গু ওয়ার্ড চলতি বছরের ১০ আগস্ট থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ওয়ার্ডে জায়গা না থাকায় বাইরেও শয্যা বিছিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। বাইরে প্রায় আটটি শয্যার সবগুলোতে রোগী ভর্তি আছে।
ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন নার্সের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডেঙ্গু ওয়ার্ডটিতে মোট ৪০টি বেড রয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরির সময়ও ৩৭টি বেডে রোগী ছিল। যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থাই ছিল গুরুতর।
ঢাকায় কর্মক্ষম মানুষের মৃত্যু বেশি, চট্টগ্রামে শিশু ও বৃদ্ধদের
সেখানেই কথা হয় আব্দুল্লাহ নামে একজনের সঙ্গে। তিনি থাকেন রাজধানীর আজিমপুর বিজিবি কোয়ার্টারে। গত শুক্রবার ছোট ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। এই অভিভাবক বলেন, শুক্রবার ছেলেটা বন্ধুদের সঙ্গে কোথায় যেন ঘুরতে গিয়েছিল। বাসায় আসার পরই গায়ে জ্বর আসে। ডেঙ্গুর নমুনা পরীক্ষার পর পজিটিভ আসে।
‘এখানে সব ধরনের সুবিধাই পাচ্ছি। দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই ডাক্তার থাকে, সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করে। আমার এখনো বাইরে থেকে কোনো স্যালাইন কিনতে হয়নি। ওয়ার্ড থেকেই সব দিয়েছে’- বলেন আব্দুল্লাহ।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, স্পেশাল কেস বাদে সব ধরনের স্যালাইন, ওষুধ আমাদের ওয়ার্ড থেকে দেওয়া হয়। আমাদের ওয়ার্ডে স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন আছে। আগামীতে কোনো সমস্যা হলে সে প্রস্তুতিও আছে।
প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগী আসছে। তাদের সার্বক্ষণিক সেবা দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
মুঞ্জিগঞ্জের মাওয়া থেকে স্বামীকে নিয়ে এসেছেন কামনা আক্তার। কথা হলে তিনি জানান, পাঁচদিন ধরে এখানে সেবা নিচ্ছি। বেড পেতে তেমন সমস্যা হয়নি। সেবার মানও ভালো। আমার স্বামী ১৫ দিন হলো দেশে এসেছেন। এসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। কিন্তু ২০২৩ সালেই মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন ডেঙ্গুরোগী। ইনজেকশনযোগ্য স্যালাইনের অভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল।