গ্যাস বা অ্যাসিডিটি থেকে কি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে?
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার
সংগৃহীত ছবি
আমাদের দেশে অনেকেই মনে করেন গ্যাস বা অ্যাসিডিটি থেকে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। আসলে এমনটা হয় না। গ্যাস আর হ্যার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগত কিছু মিল থাকায় এই ভুলটা অনেকেই করেন।
গ্যাস বা অ্যাসিডিটিজিনত সমস্যা, যেমন—পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা, ডায়জেশনের সমস্যা এবং হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণ থাকে।
সেগুলো হলো— বুকে চাপ অনুভব করা, পিঠ, ঘাড় বা হাতে ব্যথা হওয়া, শ্বাসকষ্ট।
এই কারণে অনেক সময় মানুষ গ্যাস বা অ্যাসিডিটিকে হার্ট অ্যাটাক ভেবে নেয়, অথবা উল্টোটা ঘটে।
গ্যাস বা অ্যাসিডিটি সাধারণত খাদ্যাভ্যাস বা হজমের সমস্যা থেকে হয়। কিন্তু বুকের ব্যথা যদি অনেক বেশি হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়, তা হলে এটি হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত হতে পারে।
যদি কারো হজমের সমস্যা বা অ্যাসিডিটি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে এবং তার সাথে উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে, তাহলে এটি হার্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু এটি সরাসরি হার্ট অ্যাটাক ঘটায় না।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাসের সমস্যার সাধারণত এটি খাদ্যনালী ব্যথা হয়। এটাকে অনেকে হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা বলে মনে করেন।
তবে সাধারণত হার্ট অ্যাটাক হয় হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহের অভাব বা ব্লকেজের কারণে।
তবে, যেকোনো ধরণের বুক ব্যথা বা অস্বস্তি হলে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ, গ্যাস বা অ্যাসিডিটি এবং হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য করা অনেক সময় কঠিন হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের হৃদরোগে এবং গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির গবেষক ড. জেমি স্কট বলেন,
‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা অনেক সময় হৃদরোগের মতো লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে, তবে এগুলো আলাদা শারীরবৃত্তীয় সমস্যা। বুকের ব্যথা হলে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত, কারণ এই ধরনের উপসর্গ কোনো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
কী করা উচিত
- বুকের ব্যথা বা অস্বস্তি হলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- গ্যাস বা অ্যাসিডিটির লক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হলে একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।
- উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা থাকলে নিয়মিত চেকআপ করান।
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল, ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ও মেটাবলিজমের গবেষক ড. মারিয়া ফার্নান্দেজ বলেন, ‘গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির কারণে বুকের ব্যথা হতে পারে, সেটা অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। তবে, হৃদযন্ত্রের অসুস্থতা এড়িয়ে চলতে বা সঠিক রোগ নির্ণয় করতে নির্ভরযোগ্য ডায়াগনস্টিক টেস্ট প্রয়োজন।’
সতর্কতা
বুকের ব্যথাকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, কারণ এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।