ঢাকা, রবিবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৪ ৭:৪৮:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রুম হিটার ব্যবহারের আগে যা জানা জরুরি

লাইফস্টাইল ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

শীত পড়তে না পড়তেই অনেকে ব্যবহার শুরু করেছেন রুম হিটার। এটি তাৎক্ষণিক ঘর গরম করলেও শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। হিটার ব্যবহারে হয়তো আপনি সাময়িকভাবে ঘর গরম করতে পারবেন। তবে নিয়মিত রুম হিটার ব্যবহারে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে কঠিন রোগ। তাই সতর্ক থেকে তবেই ব্যবহার করুন রুম হিটার।

কীভাবে কাজ করে হিটার?
অধিকাংশ হিটারের ভেতরেই গরম ধাতুর পাত বা সিরামিক কোর থাকে। ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য গরম হাওয়া বের করে এটি। হিটার থেকে নির্গত গরম বাতাস ঘরের আর্দ্রতা শুষে নেয়। এমনকি এই রুম হিটার আবহাওয়ায় উপস্থিত অক্সিজেনকে পুড়িয়ে দেয়। বুঝতেই পারছেন হিটার ব্যবহারের ফলে শরীরের কতটা ক্ষতি হতে পারে।

হিটার থেকে যে গরম বাতাস বের হয়, তা ত্বককে অত্যন্ত রুক্ষ ও শুষ্ক করে দেয়। হিটারের কারণে অনিদ্রা, মাথাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কনভেনশান হিটার, হ্যালোজেন হিটার ও ব্লোয়ারের অত্যধিক ব্যবহার ব্যক্তিকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। এসব হিটার থেকে যে রাসায়নিক নির্গত হয়, তা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। বিশেষ করে অ্যাজমা ও অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে হিটার ব্যবহার করবেন না।

আর ভুলেও হিটারের পাশে বসবেন না। অ্যাজমার রোগীরা রুম হিটারের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকেলে হিটার থেকে দূরে থাকুন। এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস ও সাইনাসের রোগীরাও এই যন্ত্রের কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন। হিটারের বাতাস এসব রোগীর ফুসফুসে কফ জমাতে শুরু করে। এ কারণে হাঁচি-কাশি হতে পারে। আবার ফুসফুসে জমে থাকা কফ শুকিয়ে গেলে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাজমার রোগী বা বিভিন্ন অ্যালার্জিতে যারা ভোগেন তারা সাধারণ হিটারের পরিবর্তে অয়েল হিটার ব্যবহার করতে পারেন। এই হিটারে তেল ভরতি পাইপ থাকে, যা হাওয়াকে শুষ্ক হতে দেয় না। আর সাধারণ হিটার ব্যবহার করলে, কিছুক্ষণ পর তা বন্ধ করে দিন। সাইনাস ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থাকলে হিউমিডিফায়ারের ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। এটি বায়ুতে আর্দ্রতা বজায় রাখে, ফলে শ্বাসকষ্ট হয় না।

গ্যাস হিটার থেকে সাবধানে থাকুন। গবেষণা অনুযায়ী, যে বাড়িতে গ্যাস হিটার বা এলপিজি হিটার বেশি ব্যবহার করা হয়, সেসব পরিবারের শিশুদের মধ্যে অ্যাজমার সমস্যা অধিক দেখা যায়। এছাড়া কাশি, হাঁচি, বুকে ঘরঘর শব্দ ও ফুসফুসের ক্ষতির লক্ষণ বেশি দেখা যায় এসব পরিবারেই।

এই হিটার থেকে কার্বন মনোঅক্সাইড নির্গত হয়। যা ছোট শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যের ওপর কুপ্রভাব ফেলে। ভুলেও কখনো কম্বলের মধ্যে হিটার রাখবেন না। এতে আগুন পর্যন্ত লাগতে পারে।

প্রতিদিন হিটার ব্যবহার করলে- কাশি, মাথাব্যথা, বমি বা গা গোলানো, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, নাক বন্ধ হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি, অ্যাজমার রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। যদি হিটার ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে কিছু সাবধানতা মেনে চলা ভালো। কী কী করবেন?

>> নির্দিষ্ট সময় পরপর চা, কফি বা স্যুপ পান করুন। এর ফলে গলার আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
>> ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
>> পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম পানি পান করুন।
>> ঘরের কোনো অংশে পাত্র ভরতি পানি রাখুন। এর ফলে বাড়ির ভেতরের বায়ু আর্দ্র থাকবে।
>> হিটারের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট রাখুন।


সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া