দূষিত শহর উলানবাটর, ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:২৭ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার
আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
দিন দিন রাজধানী ঢাকার বায়ু মানের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে উঠছে। বিশেষত শীতকালে বাতাসের মান ভয়ংকর হয়ে ওঠে। চলতি বছর শীতের শুরুতেই কয়েকদিন টানা বাতাসের মান ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, এবং আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার বায়ুদূষণের তালিকা প্রকাশ করেছে।
তালিকার শীর্ষে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটার, যার একিউআই স্কোর ৩২০। এখানে বাতাসের মান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা শহরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা, যার একিউআই স্কোর ২৮২ এবং বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত। এই অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, অন্যদেরও বাইরের কার্যক্রম সীমিত রাখার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা চতুর্থ স্থানে রয়েছে, যেখানে একিউআই স্কোর ২৪৩। শহরের বাতাসও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাড়িতে অবস্থান করা ভালো। অন্যদের বাইরের কার্যক্রম সীমিত করা উত্তম।
আইকিউএয়ার হল একটি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ু মান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান, যা নিয়মিতভাবে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটি বায়ু দূষণের পরিমাণ পরিমাপ করতে একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) সূচক ব্যবহার করে। এই সূচকটি বাতাসের মাপের ওপর নির্ভর করে, যা নির্ধারণ করে শহরের বাতাস কতটা দূষিত বা নির্মল।
আইকিউএয়ার স্কোর ৫০ বা তার নিচে ভালো, ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি, ১০১ থেকে ১৫০ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ থেকে ৪০০ স্কোর ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বায়ু দূষণ একটি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে, যা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ, অসুস্থ ব্যক্তিরা এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, দূষিত বাতাসের দিনে বাসা থেকে বের না হওয়ার চেষ্টা করতে এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।