ঢাকা, বুধবার ০৮, জানুয়ারি ২০২৫ ৮:৫৮:২৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ইয়েমেনে নার্সের মৃত্যুদণ্ড রুখতে ইরানের দ্বারস্থ ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:২৬ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার

ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়া।  ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়া। ছবি : সংগৃহীত

ইয়েমেনে ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রুখতে ইরানের দ্বারস্থ হয়েছে ভারত। তেহরান দিল্লিকে আশ্বাস দিয়ে বলেছে, এ নিয়ে যা করা সম্ভব, করা হবে। 

ভারতকে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন ইরানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। ইয়েমেনের এক নাগরিককে খুনে দোষী ৩৭ বছরের নিমিশা এখন সে দেশের রাজধানী সানার জেলে বন্দি। 

এই শহর আবার ইরান সমর্থিত হুথিদের দখলে। মনে করা হচ্ছে, সেই হিসাবেই ভারতকে নিমিশার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে ইরান।

দিল্লিতে ইরান দূতাবাসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা বিষয়টি দেখব। সম্ভবত তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। মানবাধিকারের বিষয়ে এ নিয়ে যা করা সম্ভব, আমরা করব।

নিমিশা কেরালার পালাক্কড় জেলার কোল্লেনগোড়ের বাসিন্দা। ইয়েমেনে নার্সের কাজ করতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবসায়িক সহযোগী তালাল আবদো মাহদিকে অতিরিক্ত পরিমাণ ঘুমের ওষুধের ইনজেকশন দিয়েছিলেন নিমিশা। তাতেই তার মৃত্যু হয়। তালালের কাছে পাসপোর্ট ছিল নিমিশার। সেই পাসপোর্ট উদ্ধার করতেই এই কাণ্ড নিমিশা ঘটিয়েছিলেন। 

২০১৭ সালের জুলাই মাসে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। ২০২০ সালে নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দেয় নিমিশাকে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সেই সাজা বহাল রাখে ইয়েমেনের সর্বোচ্চ আদালত। দিন কয়েক আগে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমিও নিমিশার সেই সাজা বহাল রাখেন।

মঙ্গলবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, কেন্দ্রীয় সরকার নিমিশার মামলায় সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। তার পরিবারকেও আশ্বাস দেন রণধীর। 

নিমিশার মা প্রেমা কুমারী এখন ইয়েমেনে রয়েছেন। তিনি মেয়ের মৃত্যুদণ্ড রোধে কেন্দ্রের দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছেন। 

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সব রকমের সাহায্য করার জন্য ভারত ও কেরালার সরকারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তা-ও শেষ বারের মতো অনুরোধ করছি, কিছু করুন। ওকে বাঁচান। সময় ফুরিয়ে আসছে, দয়া করে ওকে বাঁচান। এটাই আমার শেষ আবেদন। এবার ইরান আশ্বাস দিয়ে বলেছে, যা করা সম্ভব, করবে তারা।