নারীর এই গোপন সমস্যায় কেবল শারীরিক কষ্ট নয়, ক্ষতি মনেরও
লাইফস্টাইল ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
আজকাল নারীদের মধ্যে পিসিওডি বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজের সমস্যা খুব স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণেই এমনটা হচ্ছে। আর তাই পিসিওডি’র উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পিসিওডি এর কারণে ওজন বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত রক্তপাত, ব্রণ, পিরিয়ড ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এসব নিয়ে মাথা ঘামালেও একটি বিষয় বেশিরভাগ নারী এড়িয়ে চলেন। সেটি হলো মানসিক স্বাস্থ্য। পিসিওডির কারণে শরীরের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মনও।
পিসিওডি কী?
এটি একটি হরমোনজনিত রোগ। এই স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে নারীদের দেহে অ্যান্ড্রোজেনের (পুরুষ হরমোন) আধিক্য বেড়ে যায়। পাশাপাশি বাড়ে ইনসুলিন হরমোনেরও মাত্রা। এগুলো শরীরের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে।
পিসিওডি থাকলে নারীরা কোন ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগেন? জেনে নিন-
মানসিক অবসাদ
পিসিওডি হলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জেরে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। অ্যান্ড্রোজেন ও ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে। ফলে শরীরে কোনো কাজের এনার্জি থাকে না, বার বার মুড সুইং হয়। অনেকসময় কারো সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগে না। নিজেকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে ইচ্ছে করে। ডিপ্রেশনের অন্যতম কারণ এই সোশ্যাল আইসোলেশন। পিসিওডি থাকলে মাথার ভেতর নানা ধরনের নেগেটিভ চিন্তাভাবনা ঘুরতে থাকে। ওভারথিঙ্কিং মানসিক অবসাদ বাড়িয়ে তোলে।
ঘুমের সমস্যা
ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে পিসিওডি। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, অত্যধিক স্ট্রেস, মুড সুইং, খিটখিটে মেজাজ—এমন ছোট ছোট বিষয়ই ঘুম নষ্ট করে দেয়। এই সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের ৭-৮ ঘণ্টার নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম হয় না। পাশাপাশি দেখা দেয় অনিদ্রার সমস্যা। চোখের পাতায় ঘুম আসতে চায় না। মাঝরাতে বারবার ঘুম ভেঙে যায়। আর ঘুম ভালো না হলে তার প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। সেসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। ঠিকমতো ঘুম না হলে বাড়ে ডিপ্রেশনের ঝুঁকি।
বডি ইমেজ
পিসিওডি থাকলে ওজন বেড়ে যায়। এটি খুব স্বাভাবিক সমস্যা। মুড সুইংয়ের জেরে বাড়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জেরেও ওজন বাড়ে। এছাড়া মুখে ব্রণ ও রোমের আধিক্যও দেখা দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চেহারা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে।
পিসিওডি সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিরা সারাক্ষণ ভাবতে থাকেন, কীভাবে বডি ইমেজ ঠিক করা যায়, কীভাবে পরিষ্কার ত্বক পাওয়া যায়, কোন পোশাক পরলে মেদ লুকানো যাবে ইত্যাদি। এই চিন্তা অনেক ক্ষেত্রেই মানসিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কমিয়ে দেয় আত্মবিশ্বাস।
শরীরের পাশাপাশি খেয়াল রাখুন মনের। কীভাবে ভালো থাকবেন তা খুঁজে বের করুন, পর্যাপ্ত ঘুমান।