ঢাকা, সোমবার ১৩, জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৯:১৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত: ড. ইউনূস

বাসস

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১১ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নেয়া এবং সেটির তথ্য গোপন করে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটিশ এ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে দেশটির বিরোধী দল। এরইমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ অভিযুক্ত যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিককে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় সরকারি বাসভবন যমুনায় সানডে টাইমসকে সাক্ষাৎকার দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে তাঁকে (টিউলিপ) ও তাঁর পরিবারকে দেয়া সম্পত্তি ভোগ করার জন্য তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে যেসব সম্পত্তি ব্যবহার করেন, সেগুলোরও তদন্ত হওয়া দরকার। যদি প্রমাণিত হয় যে তিনি এসব সম্পত্তি ‘সম্পূর্ণ ডাকাতির’ মাধ্যমে অর্জন করেছেন, তাহলে তা ফেরত দেয়া উচিত।’

অর্থনীতিবিদ এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বছরের ৮ আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি সানডে টাইমসকে বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকারের ট্রেজারি ও সিটি মিনিস্টার হিসেবে আর্থিক দুর্নীতি মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের বাড়িগুলো অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে তৈরি করা কিনা, তা তদন্ত হওয়া উচিত।’

সানডে টাইমস জানিয়েছে, তারা তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে যে টিউলিপ সিদ্দিক বছরের পর বছর ধরে একটি বাড়িতে বাস করেছেন, যে বাড়িটি দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী একটি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কিনেছিলেন। অথচ এ ধরনের আর্থিক অস্বচ্ছতা এড়াতে তিনি বরাবর কথা বলতেন।

সানডে টাইমস আরও জানিয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পারমাণবিক শক্তি চুক্তিতে টিউলিপ মধ্যস্থতা করেছিলেন এবং আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছিলেন। তাঁর দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে টিউলিপ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ব্রিটিশ সরকারের দুর্নীতি দমন মন্ত্রী হয়েছেন টিউলিপ এবং তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর চেয়ে হাস্যকর আর কিছু হয় না।

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘তিনি যখন কাজটি (দুর্নীতি) করেছেন, তখন হয়তো বুঝতে পারেননি। কিন্তু এখন তো বুঝতে পারছেন। এখন আপনার বলা উচিত, আমি দুঃখিত। আমি তখন বিষয়টি (দুর্নীতির) জানতাম না। এখন আমি জনগণের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এবং পদত্যাগ করছি। কিন্তু তা বলছেন না। বরং নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।’

এরপর সঙ্গে সঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘তাঁর (টিউলিপের) পদত্যাগ করা উচিত—এমন বলাটা আমার কাজ না।’