ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৩, জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৬:৫৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জানুয়ারিতে বিদায় নিচ্ছে শীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৩৮ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

চলতি জানুয়ারি মাস থেকেই বিদায় নিতে যাচ্ছে শীত! যদিও এবার পুরো মৌসুমে সেভাবে শীতের প্রকোপ অনুভূত হয়নি। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার সেভাবে শৈত্যপ্রবাহও দেখা যায়নি। প্রতিবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহে দেশের মানুষ নাস্তানাবুদ হলেও এবার তা লক্ষ্য করা যায়নি। একবারের জন্যও এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েনি দেশের মানুষ। আর আবহাওয়ার এ পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণেই।

বিশেষজ্ঞরা জানান, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের আচরণ থেকে কোনোভাবেই বেরোতে পারছে না বিশ্ব। উন্নত দেশগুলো থেকে নির্গত হওয়া গ্রিন হাউস গ্যাসের ক্ষতিকারক প্রভাবে প্রভাবিত হচ্ছে ছোট দেশগুলো। জলবায়ুর এই বিরূপ আচরণের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এর ফলেই শীতের ভরা মৌসুমে শীত কমে গেছে বলেই জানান তারা।

শীতের সার্বিক বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, আগামী কয়েকদিন শীত কম থাকবে। এরপর আবারও বাড়বে। মাসের শেষ দিকে শীত এলেও দুই থেকে তিনদিন থেকে আবার কমতে শুরু করবে। এই ধাক্কার শীতে শৈত্যপ্রবাহের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। কয়েকটা জেলায় শৈত্যপ্রবাহ হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।

তিনি বলেন, জানুয়ারির পর থেকেই আস্তে আস্তে শীত বিদায় নেবে। একমোসটোরি রিভার বর্তমানে বাংলাদেশের ওপরে বিদ্যমান আছে। এটা দেশের উত্তরাঞ্চলে থাকলে শীতের প্রকোপটা একটু কম থাকে। এজন্যই এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহও হয়নি, আবার মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি।

শীত কম পড়ার কারণ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের (বিডব্লিউওটি) প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেন বলেন, এই বছরটা গেছে নিউট্রাল টু লানিনা এয়ারের দিকে। সাধারণত লানিনা এয়ারের মধ্যে থাকলে শীত কম পড়ে। শীতকালে বাতাস ভূমি থেকে সাগরের দিকে যায়। কিন্তু ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স এর কারণে ভূমি থেকে সাগরে বাতাস যাওয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে শীতকাল হওয়াটাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া কুয়াশা বেল্টের কারণেও শীত কম পড়েছে। কুয়াশা বেল্ট থাকলে উপরের দিকে ঢেকে থাকে। এর ফলে শহর বা লোকাল অঞ্চল থেকে যে গরম বাতাস বের হয়, সেটা আর উপরের দিকে যেতে পারে না। গরম বাতাস উপরে যেতে না পারার কারণে হিট ডোমের মতো কাজ করে বা কুয়াশা বেল্টে বাতাসটা আটকা থাকে। এর ফলে শক্তিশালী শৈত্য প্রবাহ তৈরি হতে পারে না। শীত অনুভূত হলেও শৈত্য প্রবাহ সেভাবে হয় না। এই কারনগুলোতেই এ বছর শীত কিছুটা কম অনুভূত হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি আবারও একটা শৈত্য প্রবাহ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অর্থাৎ জানুয়ারি পর্যন্ত শীত থাকবে। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই আস্তে আস্তে গরমের দিকে যাবে। বিশেষ করে আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে পুরোদমে গরম পড়া শুরু করবে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিন গরম গরম অনুভূত হলেও ভোর রাতের দিকে শীত অনুভূত হবে বলে জানান তিনি।