ঢাকা, শুক্রবার ২৪, জানুয়ারি ২০২৫ ০:১৯:৫৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

যুক্তরাষ্ট্রে গির্জা-হাসপাতালেও গ্রেপ্তার আতঙ্কে অভিবাসীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪১ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে গির্জা ও হাসপাতালের মতো ‘সংবেদনশীল স্থাপনা’ থেকে অভিবাসীদের আটকের বিষয়ে সব বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে, এখন থেকে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ শিক্ষাঙ্গন, গির্জা ও হাসপাতাল থেকেও অভিবাসীদের আটক করতে পারবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই নির্দেশনা জারি করা হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের জননিরাপত্তা সংক্রান্ত অধিদপ্তর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গ্রেপ্তার এড়াতে অপরাধীরা আর গির্জা ও বিদ্যালয়ে লুকিয়ে থাকার সুযোগ পাবে না।


দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত বেঁধে না রেখে তাদের বিবেকের ওপর আস্থা রাখবে। এক দশকের বেশি সময় ধরে এসব স্থান থেকে কোনো অভিবাসীকে আটক করতে পারত না ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এবং কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এ দুটি সংস্থার তত্ত্বাবধানে রয়েছে।


মঙ্গলবার দুটি নির্দেশনা জারি করেছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান বেনজামিন হাফম্যান। একটি হচ্ছে সংবেদনশীল স্থাপনা থেকে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত। আর দ্বিতীয় নির্দেশনার ক্ষমতাবলে, বৈধ কাগজপত্রবিহীন আটককৃত ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছরের বেশি সময় ধরে অবস্থান প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে তাকে দ্রুত দেশ থেকে বের করে দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ।


প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউজের মসনদে বসেই নির্বাহী আদেশ জারির ঝড় তোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজের নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুযায়ী কঠোর অভিবাসী নীতি জারি করেছেন। তার হাত ধরেই পুরোনো নির্দেশনা দুটি পুনর্বহাল করা হলো। প্রেসিডেন্টের ‘ব্যাপক অভিবাসী নির্বাসন’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের তাৎক্ষণিকভাবে আটকের জন্য মাঠে নামার অঙ্গীকার করেছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তবে সংবেদনশীল স্থাপনা থেকে আটকের অনুমতি প্রদানের ফল ক্ষতিকর হবে বলে ট্রাম্প প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।


এ বিষয়ে আইন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা দ্য সেন্টার ফর ল অ্যান্ড সোশ্যাল পলিসি তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের কারণে অভিবাসীদের পরিবার ও তাদের সন্তানের পাশাপাশি মার্কিন শিশুরাও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা, ত্রাণ সহায়তা, স্কুলে যাওয়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের কাজে তারা বাধার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবে বলে সংস্থাটির দাবি।