ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৩০, জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:২৬:৪৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রিজার্ভ বেড়ে ফের ২০ বিলিয়নের ঘরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় ১২৭ কোটি ডলার বা এক দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছিল।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার।


জানা গেছে, গত ৯ জানুয়ারি আকুর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিলের দায় বাবদ ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামে। এরপর গত বুধবার আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ আরও কমে ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার হয়। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।


অন্যদিকে, সোমবার বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।


এর আগে, দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে। তবে ২০১৭ সালে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। আর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামায় ছিল।


তবে করোনা-পরবর্তী সময়ে বিশ্ববাজারে সুদহার অনেক কমে আসে। এতে অনেক দেশ বিদেশি ঋণ কমালেও বাংলাদেশে বেড়ে যায়। এ কারণে আগের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়।


অন্যদিকে দেশের মধ্যে তীব্র ডলার সংকটে খোলাবাজার পরিস্থিতিও টালমাটাল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে সংকট আরও জটিল হয়। এ কারণে বাধাগ্রস্ত হয় এলসি খোলা। অনেক ব্যাংক এখনো এলসি খুলতে পারছে না, নিষ্পত্তিতেও ভোগান্তিতে পড়েছে। আর বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ করে জরুরি পণ্য আমদানিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণে প্রতি মাসে বাজারে ডলার চলে যাওয়ায় কমছে রিজার্ভের পরিমাণ।


চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশে পণ্য আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৫৭২ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের। একই সময়ে দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৯৬ কোটি ডলার মূল্যের। এতে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৪৭৬ কোটি ডলার


দেশীয় মুদ্রার (প্রতি এক ডলার সমান ১০৯ টাকা ধরে) হিসাবে পাঁচ মাসে এই বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫১ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা। আর গত বছরের একই সময়ে (২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর) বাণিজ্যে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ১৮২ কোটি ডলার। অর্থাৎ সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ (৫৯ দশমিক ৭২ শতাংশ)।