ঢাকা, শুক্রবার ৩১, জানুয়ারি ২০২৫ ৫:৪০:২৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ দ্বিতীয় ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কারণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বাস করছে রাজধানীর মানুষ। শীত আসার পর থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ভিড় বাড়ছে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে, যার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী দূষিত বাতাস। গত ডিসেম্বরের মতো জানুয়ারিতেও নিঃশ্বাসে চরম অনিরাপদ বাতাস গ্রহণ করে যেতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।


মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার দূষণ স্কোর রেকর্ড হয়েছে ২৪৫। অর্থাৎ, আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর এখানকার বাতাস। সবশেষ এই আপডেট অনুযায়ী বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা।


দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার আগেই অবস্থান করছে ভারতের দিল্লি। ৩৯২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে শহরটি। আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, গতকালের মতো আজও দুর্যোগপূর্ণ শহরটির বাতাস।


মূলত, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।


২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম-১০ ও পিএম-২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।


বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন— প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে বিশ্বজুড়ে।