ঢাকা, শুক্রবার ৩১, জানুয়ারি ২০২৫ ৫:৩০:৪৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনে বাধা: বাফুফের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৬ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু নারীদের ফুটবল ম্যাচ ঠেকাতে প্রতিবাদ জানান এলাকার মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও মুসল্লিরা। ভেঙে ফেলেন স্কুল মাঠের টিনের নিরাপত্তা বেড়া। যা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ছে। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাফুফে।


বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনে বাধা-ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।


এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাফুফে লিখেছে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নারীদের ফুটবল খেলা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে টিনের বেড়া ভাঙচুরের ঘটনাকে সমর্থন করে না।


দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন রাখতে সবার প্রতি আহ্বান বাফুফের, ফুটবল সবার জন্য এবং নারী ফুটবলারদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের পূর্ণ অধিকার আছে। নারীদের খেলাধুলায় বাধা সৃষ্টি করা ক্রীড়ার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিপন্থি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বিশ্বাস করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও নারীদের ফুটবল খেলায় যেন কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানায় বাফুফে।


আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং নারীদের ফুটবল খেলায় যেন কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করা হোক।


এ ছাড়াও স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ের ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাফুফে, একই সঙ্গে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিত্বদের নারীদের ক্রীড়াচর্চায় সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই, যাতে ফুটবলসহ সব খেলাধুলায় নারী ও কিশোরীরা অবাধে অংশ নিতে পারে।


ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার, নারীদের ফুটবল ম্যাচ ঠেকাতে প্রতিবাদ জানান এলাকার মাদ্রাসাশিক্ষক-শিক্ষার্থী ও মুসল্লিরা। ভেঙে ফেলেন স্কুল মাঠের নিরাপত্তাবেড়া। পরদিন (বুধবার) থমথমে পরিস্থিতি সমাধানে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সমঝোতায় বসেনি কোনও পক্ষই।