ঢাকা, শনিবার ০৮, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৮:১৬:৪৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ব্রিটিশ মানবাধিকারবিষয়ক দূত ঢাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৫ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

তিন দিনের সফরে আজ সোমবার ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত এলিনর স্যান্ডার্স। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার লক্ষ্যে এটি ঢাকায় তার প্রথম সফর। ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবাধিকার দূতের এই সফর ঘিরে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে যুক্তরাজ্য।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মানবাধিকার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এলিনর স্যান্ডার্স।

ব্রিটিশ হাই কমিশন বলছে, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষায় যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকার দীর্ঘদিনের। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা ফেরানো, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য।

বিচার ও জবাবদিহিতা, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিয়ে রাষ্ট্রদূত স্যান্ডার্স আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে হাই কমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিনারে মানবাধিকার বিষয়ে বক্তব্য দেবেন স্যান্ডার্স। শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। এই মতবিনিময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও পরিদর্শনে যাবেন ব্রিটিশ মানবাধিকার বিষয়ক দূত। সেখানে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তার বিভিন্ন প্রকল্প দেখবেন তিনি। যার মধ্যে খাবার বিতরণ, নারী স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং এলপিজি বিতরণের কর্মসূচি রয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতার বিষয়টি শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই কমিশনের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের নতুন অনুদানের ঘোষণাও দেবেন এলিনর স্যান্ডার্স।

তাকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে জোরালো সমর্থন জানাচ্ছে যুক্তরাজ্য, যাতে ওই সংস্কার কার্যক্রমগুলোর মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির সহায়ক হয়।

‘আমরা মনে করি, আমার এই সফরের মধ্য দিয়ে অনেকগুলো অগ্রাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। যেমন- জবাবদিহিতা ও বিচার, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতা এবং শ্রম অধিকার। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বহুপক্ষীয় অংশীদারত্ব আরও দৃঢ় করব, যেটি বর্তমানে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।’

ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার হাই কমিশনার এলিনর স্যান্ডার্সকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। এ সফর বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের গভীর বন্ধুত্ব এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য আরও সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরিতে বহুদিনের যে অঙ্গীকার, বহিঃপ্রকাশ।