ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৩, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০:৫৪:৫৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২৭ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েল  যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করায় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে না জানিয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এবার তার কড়া জবাব দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তিনি জানিয়েছেন, হামাস ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে ফের গাজায় তীব্র অভিযান চালানো হবে। নেতানিয়াহুর দাবি, শনিবার দুপুরের মধ্যে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি দিতে হবে।

আগে কথা ছিল শনিবার তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। নেতানিয়াহু এবার সমস্ত বন্দির মুক্তির কথা বলছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 
নেতানিয়াহুর কথায়, শনিবার দুপুরের মধ্যে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স হামাসের উপর চরম হামলা চালাবে। হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস না করা পর্যন্ত এই অভিযান বন্ধ হবে না।

নেতানিয়াহুর এই বার্তা পাওয়ার পর ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণে গাজা সীমান্তে তারা ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে। রিজার্ভ ফোর্সকেও সেখানে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ এলেই অভিযান শুরু হবে।

এদিকে গাজার অবস্থা কার্যত ধ্বংসস্তূপ। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের একটি সংস্থা জানিয়েছে, গাজাকে নতুন করে তৈরি করতে হলে সব মিলিয়ে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। প্রথম তিন বছরে খরচ হবে ২০ বিলিয়ন ডলার। গাজায় ৬০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। শুধুমাত্র নতুন করে বাড়ি বানাতেই খরচ হবে ১৫ বিলিয়ন ডলার। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন করে তৈরি করতে খরচ হবে আরো প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নতুন করে গড়ে তুলতে খরচ হবে আড়াই বিলিয়ন। আর খেতগুলিকে ফের চাষযোগ্য করার জন্য খরচ হবে চার বিলিয়ন ডলার।

গাজার অধিবাসীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা। হোয়াইট হাউসে এই বৈঠক হয়েছে। ট্রাম্পের অভিমত, গাজা স্ট্রিপকে খালি করে দেওয়া হোক। আমেরিকা ওই এলাকার দায়িত্ব নেবে এবং জায়গাটিকে একটি পর্যটকস্থল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। অন্যদিকে গাজার অধিবাসীদের জর্ডান অথবা মিশরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই জর্ডান ও মিশর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন। 

মঙ্গলবারের বৈঠকেও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা স্পষ্ট করে বলেছেন, কোনোভাবেই গাজার অধিবাসীদের জর্ডানে স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হবে না। বরং তার বক্তব্য, গাজার মানুষ যাতে আবার শান্তিতে সেখানেই বসবাস করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে কোনোভাবেই তাদের উৎখাত করা যাবে না। 

দুই-রাষ্ট্রের তত্ত্বের ভিত্তিতে গাজা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ে এসেছেন, কোনোভাবেই জর্ডানে গাজার ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের জন্য আলাদা থাকার জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়।