ঢাকা, শুক্রবার ২১, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৬:৪৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নার্সারিতে বাহারি ফুলের চাষ করে সফল দুলাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৯ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

৩৭ বছর ধরে নার্সারিতে বাহারি ফুলের চাষ করে সফল হয়েছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবের দুলাল মিয়া। তিনি উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার নার্সারিতে ১৬-২০ জনের বেশি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, নার্সারিতে ফুটেছে গোলাপ, গাঁদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। মালিকসহ পরিচর্যাকারীরা গাছের পরিচর্যা ও বিক্রির জন্য গোলাপ ও গাঁদা ফুল কাটছেন। নিজের ১২০ শতাংশ জায়গায় গোলাপ, সাদা গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ করেন। নার্সারি থেকে ফুল সংগ্রহ করে নিজের দুটি দোকানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন।


সফল ফুল চাষি দুলাল মিয়া  জানান, শখ থেকে শুরু করেন ফুল চাষ। প্রথমে সাভারের একটি নার্সারিতে ফুল চাষ শুরু করেন। সেখানে ৮ বছর চাষ করার পর ভৈরব শহরের মাদ্রাসা এলাকায় বাণিজিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ শুরু করেন। পরে নিজগ্রামে নিজের জমিতে চাষ শুরু করেন। দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে ফুল চাষ করে সফল তিনি। গড়ে তুলেছেন দুটি ফুল বিক্রির দোকান।

তিনি বলেন, ‘আমার তো নার্সারিসহ দুটি ফুল বিক্রির দোকান আছে। সারাবছরই বিক্রি হয়। যারা শুধু বাগান করেন; তারা দিবসের অপেক্ষায় থাকেন। এ বছর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বাগান থেকে প্রায় ১৪০০ লাল গোলাপ ও ১ হাজার গাঁদা ফুল কাটা হয়েছে। এসব ফুল দোকানে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছে।’

দুলাল মিয়া বলেন, ‘বাজারে পাইকারি ১০০ গোলাপ ফুল ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি মাসে নাসার্রিতে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়। তবে ফুল বাগান সবাই করতে পারেন না। মনের সাথে ফুল চাষের সম্পর্ক আছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই ফুল চাষে আগ্রহী হয়েছি। এটি পেশা হিসেবে নিয়ে বেশ সফল হয়েছি। সমাজেও এ পেশাকে সম্মান করা হয়। আমি খুব গর্ব বোধ করি।’

নার্সারির শ্রমিক কটিয়াদি উপজেলার জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই নার্সারিতে যত্ন ও পরিচর্যা শেষে ফুল সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য দোকানে নিয়ে যাই। সারাবছরই আমাদের ফুলের চাহিদা থাকে। বিশেষ দিবসগুলোতে বেশি চাহিদা থাকে। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে একসঙ্গে তিনটি দিবস পাওয়া যায়। আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। নার্সারি থেকে প্রতিদিন ১১০০-১২০০ গোলাপ কাটা হয়। বাজারে পাইকারি ১১ টাকা ও খুচরা ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়।’