ঢাকা, রবিবার ২৩, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৩:৫৫:১১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রক্তাল্পতার সমস্যা মেটায় যেসব খাবার

লাইফস্টাইল ডেস্ক 

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৯ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়া সাধারণ একটি সমস্যা। এ দেশের অনেক নারীই এই সমস্যায় ভুগছেন। শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে গেলে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব কমতে থাকে। তখন সারা শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর দুর্বল হতে থাকে, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি দেখা দেয়। 

হিমোগ্লোবিন কী? 

হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকায় অবস্থিত এক প্রকার প্রোটিন, যাতে আয়রন ও অক্সিজেন থাকে। ব্যক্তি বিশেষে আলাদা হলেও শরীরে স্বাভাবিকভাবে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ হলো পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৩.৮ থেকে ১৭.২ ডেসিলিটার। নারীদের ক্ষেত্রে ১২.১ থেকে ১৫.১ ডেসিলিটার। এই মাত্রা কমে যাওয়া মানেই রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দেওয়া। 


রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াবে কোন খাবারগুলো এবং সেগুলো কীভাবে খেতে হবে? 

খাবার কেবল খেলেই হয় না, তা খেতে হ্য সঠিক পদ্ধতি মেনেও। পুষ্টিবিদদের মতে, রক্তের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে খেতে পারেন পালং, ব্রোকলি, বিট, পনির, ডিম, আপেল, তরমুজ, বেদানা, কুমড়োর বীজ, কাঠবাদাম, অ্যাপ্রিকট এবং কিশমিশ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এমন উপাদান কীভাবে খাবেন? 


বিট 

বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। এটি রক্তে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। তবে বিট যদি খেতে হয় তাহলে, জুস করে অথবা বিটের সালাদ খেলে উপকার বেশি হবে। বেশি ঝালমশলা দিয়ে বিটের সবজি রান্না করে খেলে বা পাকোড়া বানিয়ে খেলে উপকার মিলবে না। 

আপেল 

এই ফলে ভালো পরিমাণে আয়রন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে। রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে আপেল জুস করে খেলে লাভ হবে বেশি। অথবা আপেলের সঙ্গে পিনাট বাটার মিশিয়ে খান। এতে বেশি উপকার পাবেন। 

খেজুর

রক্তাল্পতা কমাতে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। তাই বলে খেজুরের চাটনি করে খেলে লাভ হবে না। খেজুর শুধু বা ঈষদুষ্ণ দুধের সঙ্গে খেলে উপকার বেশি হবে।


সূর্যমুখীর বীজ 

সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে। বীজ খেতে হলে রোস্টেড খাওয়াই ভালো। না হলে স্মুদি বানিয়ে খেলে আয়রনের ঘাটতি মিটবে।

বেদানা 

বেদানা শুধু খান কিংবা জুস বানিয়ে? আয়রন ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলটি দইয়ের সঙ্গে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে, বেদানা যদি দইয়ের মতো প্রোবায়োটিকের সঙ্গে খাওয়া যায়, তাহলে বেশি উপকার মিলবে। 

পালং শাক 

ভিটামিন সি-তে ভরপুর পালং শাক রক্তশূন্যতা কমায়। এটি যদি স্মুদি বানিয়ে পাতিলেবুর রস দিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে আয়রন শোষণ বেশি হবে। রক্তাল্পতা থাকলে এই নিয়মে পালং শাক খান।