হলুদ রঙের ফুলকপিতে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শনিবার

সংগৃহীত ছবি
সাদা ফুলকপির চেয়ে হলুদ ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। শুধু জৈব সার ব্যবহার করেই এ ফুলকপি চাষ করা যায়। তাতেই সারা ফেলেছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকার তিন নারী। তারা হলেন- ফাতেমা বেগম, নাজিরা বেগম ও রেহেনা বেগম। এলাকায় প্রথমবার পরীক্ষামূলক এ শীতকালীন সবজি চাষ করে পেয়েছেন সফলতা। হলুদ ফুলকপি নিয়ে এরই মধ্যে অন্য কৃষকের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
ধলাই নদীর তীরবর্তী দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকায় হলুদ রঙের ফুলকপি চাষে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন। পুষ্টিকর ও ক্যানসার প্রতিরোধে হলুদ ফুলকপিতে অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাজারে যেসব সাদা ফুলকপি পাওয়া যায়, তার চেয়ে দামে প্রায় দ্বিগুণ হলুদ ফুলকপি।
কম খরচে বেশি লাভজনক সবজির দৃষ্টান্ত হচ্ছে ফুলকপি। আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে আগাম চাষাবাদ হলে এ ফুলকপির বাম্পার ফলন হবে এবং কৃষকেরা সাবলম্বী হবেন।
কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকার ফাতেমা বেগম, নাজিরা বেগম ও রেহেনা বেগম ৩৫ শতাংশ জমিতে হলুদ ফুলকপি চাষ করেন। এতে মোট খরচ হয়েছে ২৪-২৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তারা বিক্রি করেছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা। আগাম চাষাবাদ হলে লাভ আরও বেশি হতো। বর্তমান বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কম থাকায় চাহিদার তুলনায় কম লাভবান হবেন।
হীড বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তা সোহেল সিকদার বলেন, ‘হীড বাংলাদেশের বাস্তবায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় রঙিন ফুলকপি চাষে লাভবান দক্ষিণ কুমড়াকাপন গ্রামের কৃষক। তাদের রঙিন ফুলকপির চারা, জৈব সার, বালাইনাশক, হলুদ কার্ড, ফেরোমন ফাঁদ, প্রশিক্ষণ, নিয়মিত ক্ষেত পরির্দশন ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়; তেমনই পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, ক্যানসার প্রতিরোধক অ্যান্থোসায়ানিন আছে। আগামীর কৃষিতে রঙিন ফুলকপি নতুন মাত্রা যোগ করবে।’