ঢাকা, সোমবার ১০, মার্চ ২০২৫ ২০:৩৪:৫০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিষখালীতে ধরা পড়লো আড়াই কেজির ইলিশ, দাম ১৪ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১১ পিএম, ১০ মার্চ ২০২৫ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বরগুনার পৌর মাছ বাজারে ২ কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশের দাম উঠেছে সাড়ে ১৪ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ৬ হাজার টাকা দরে মাছটি বিক্রির জন্য দাম হাঁকা হয়েছে। বরগুনার স্থানীয় নদী বিষখালীতে জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

রোববার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক জেলে বিক্রির উদ্দেশ্যে বরগুনা পৌরশহরের মাছ বাজারে মাছটি নিয়ে এলে পাইকারি ব্যবসায়ী মিজান সেটি নিলামে তোলেন। নিলামে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে মো. নান্টু মোল্লা সর্বোচ্চ দাম দিয়ে মাছটি কিনে নেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার ডালভাঙ্গা গ্রামের মোল্লারহোরা এলাকা সংলগ্ন বিষখালী নদীতে স্থানীয় এক জেলের জালে ইলিশ মাছটি ধরা পড়ে। এরপর রাতে বিক্রির উদ্দেশ্যে বরগুনা পৌরসভার মাছ বাজারে মাছটি নিয়ে এলে মৎস্য ব্যবসায়ী মিজান মাছটি ডাকে তোলেন। এসময় উপস্থিত পাইকারদের মধ্যে মো. নান্টু মোল্লা নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী ৪ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কিনে নেন। পরে ক্রেতাদের কাছে কেজি প্রতি ৬ হাজার টাকা করে ইলিশ মাছটি মোট সাড়ে ১৪ হাজার টাকা দাম হাঁকিয়েছেন তিনি।

স্বাদ ও গন্ধের কারণে বিষখালী নদীর ইলিশের সুখ্যাতি রয়েছে। এছাড়া আকারে বড় হওয়ায় মাছটি দেখতে ভিড় করেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে দাম বেশি হওয়ায় মাছটি এখনও বিক্রি করা যায়নি।

সাইফুল নামের এক ক্রেতা বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দেখে মাছটি কিনতে এসেছিলাম। এসে দেখি অনেক দাম চাচ্ছে। আমার জীবনে এত বড় ইলিশ দেখিনি। কিনতে না পারলেও দেখে স্বাদ মিটালাম। তবে ইলিশটি তাজা এবং দেখে মনে হচ্ছে আমাদের বিষখালী নদীর মাছ।

মাছ ব্যবসায়ী মো. নান্টু মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, বিষখালী নদীর ইলিশের চাহিদা বেশি। ভালো দামে বিক্রির আশায় আমি মাছটি কিনেছি। ক্রেতারা কেনা দামও বলছেন না, তাই বিক্রি করিনি। তবে আশা করছি সোমবার দুপুরের আগে মাছটি বিক্রি হয়ে যাবে। এত বড় মাছ সচরাচর বরগুনা বাজারে ওঠে না।


এ বিষয়ে বরগুনা মাছ বাজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির লিটন  বলেন, রাতে বিষখালী নদী থেকে ধরা ২ কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ বাজারে নিয়ে আসেন জেলেরা। পরে মৎস্য আড়তদার মিজান পাইকারদের উপস্থিতিতে মাছটি ডাকে তোলেন। এসময় ডাকে অংশ নেওয়া কয়েকজন পাইকারের মধ্যে মো. নান্টু মোল্লা বিক্রির উদ্দেশ্যে মাছটি কিনে নেন।