ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮, মার্চ ২০২৫ ১৬:০০:৫৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গাজীপুরে বেতন-বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৫ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রীপুর-মাওনা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সোলার সিরামিক কারখানার শ্রমিকেরা। এসময় সড়কের উভয় পাশে যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সড়কে জুট রেখে তাতে আগুন জালিয়ে তারা বিক্ষোভ করে।

আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানায়, চলতি মাসের ১ তারিখে কারখানা কর্তৃপক্ষ লে-অফ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেয়। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন রবিবার (১৬ মার্চ) পরিশোধের কথা ছিল। সকালে শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন নিতে এসে কারখানা গেইটে পূর্বের টানিয়ে দেয়া নোটিশ দেখতে পায়নি। নতুন টানানো নোটিশে কারখানা কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে বকেয়া বেতন আগামী এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ পরিশোধ করা হবে।

তারা আরও জানান, আমরা এককেজন শ্রমিক ৫ বছর, কেউ কেউ ৭ বছর এবং কেউ কেউ ১০ বছরেরও বেশি সময় এ কারখানায় চাকরি করছি। আমাদের অনেক শ্রমিক সার্ভিস বেনিফিটের টাকা পওনা রয়েছে। ওইসব বকেয়া পরিশোধ না করে কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে কারখানায় বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয়। পরবর্তীতে বারবার বকেয়া পরিশোধের তারখি দিয়েও পরিাশোধ করছে না। কারখানা মালিক আমাদের সাথে বারবার টাকা পরিশোদের আশ্বাস দিয়ে টালবাহান করছে।

তারা বলেন, বেতন ও ইদ বোনাস না দিলে আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে ঈদ করতে পারব না। অনেক শ্রমিক ভাইয়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল মাদ্রাসার বেতন না দিতে পেরে তারা প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।

আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানায়, পূর্ব নির্ধারীত ঘোষণা অনুযায়ী সকালে কারখানায় এসে দেখি বেতন পরিশোধের নতুন তারিখ দিয়ে আবার আরেকটি নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে কৃর্তপক্ষ। কারখানা মালিকের এসব টালাবাহানার কারণে আমাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছি। আমাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে কারখানা খোলার দাবি জানান তারা।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে মালিকের সাথে কথা বলে তাদের বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল শুরু হয়ে।