ঢাকা, শনিবার ১২, এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৩:১৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

খাগড়াছড়িতে চলছে ১৫ দিনব্যাপী বৈসাবি মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

পাহাড়ের বৃহৎ উৎসব বৈসাবিকে উদযাপনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে শুরু হয়েছে মেলা; যা চলবে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। মূলত চাকমাদের ‘বিঝু’ মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ এবং  ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’ অনুষ্ঠানের নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে সম্মিলিত উৎসবের নাম হলো ‘বৈসাবি’।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. সুধীন কুমার চাকমা বলেন, বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের প্রথম দিন চাকমারা চাকমা ক্যালেন্ডার ইয়ার ‘বিজু’ পালন করে থাকে। অন্যদিকে, সম্পূর্ণ ভিন্ন কৃষ্টি ও সংস্কৃতি নিয়ে মারমারা তাদের নববর্ষ ‘সাংগ্রাই’ ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী ‘বৈসু’ পালন করে থাকে।

বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের সভাপতি থোয়াই মারমা বলেন, ‘পাহাড়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বৈসাবি। খাগড়াছড়ির বৈসাবি উদযাপন কমিটির উদ্যোগে জেলা শহরে চলছে ১৫ দিনব্যাপী ‘বৈসাবি’ মেলা। গত ২৮ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এ মেলা, চলবে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ত্রিপুরা ঐক্য পরিষদ আহবায়ক খনি রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন, বৈসাবি পাহাড়ি জনগণসহ অন্যান্যদের এক হতে, সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করার মন্ত্র দেয়।

খাগড়াছড়ি বৈসাবি মেলা উৎযাপন কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব কিরন চাকমা বলেন, মূলত পাহাড়িদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখা, বিকশিত করা ও নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা দেওয়া এবং মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য এ মেলা আয়োজন।

তিনি বলেন, মেলায় পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, নারীদের হাতের তৈরি অলংকার, ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিস, বিভিন্ন প্রকারের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল রয়েছে। এ ছাড়া মেলায় প্রতিদিন রয়েছে পাহাড়ি নাচ-গানসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রাখা হয়েছে। বৈসাবি মেলায় সম্পৃক্ত সবাই খুশি।

বৈসাবি মেলা নিয়ে পুলিশ সুপার জুয়েল আরেফিন গণমাধ্যমকে বলেন, এ মেলাকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে তিন স্তরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ সময় পাহাড়ের সবাইকে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।