ইউটিউবে বাঙালীদের জনপ্রিয় ফুড চ্যানেল
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৭:৪৭ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:৪৪ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৮ শুক্রবার
রুমানা আজাদ
বাঙালী, মোগলাই, চাইনিজ-নানা দেশের, নানা স্বাদের রান্নার সম্ভার নিয়ে ইউটিউবের ফুড চ্যানেলগুলিতে এখন বাঙালী ভোজন রসিকদের যেন মেলা বসেছে।
এতে কেউ তুলে ধরছেন দেশি-বিদেশ খাবারের দুর্লভ সব রেসিপি, কেউ ফাঁস করে দিচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী সব খাবারের গোপন রহস্য, কেউবা আপনাকে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের পছন্দের কোন রেস্টুরেন্টে, চেখে দেখছেন নানা পদের খাবার, পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন নামী শেফ কিংবা লুকিয়ে থাকা কোন প্রতিভার সাথে।
মজাদার খাবারের এসব ফুড চ্যানেলগুলোর রয়েছে চটকদার সব নাম : বেঙ্গলী ফুড চ্যানেল, স্পাইস বাংলা, বং ইটস, আরও কত কি।
এই চ্যানেলগুলো থেকে প্রায় প্রতিদিন আপলোড করা হচ্ছে নানা দৈর্ঘ্যের ভিডিও-নানা রেসিপি, নানা টিপস, রান্নাঘরের নানা কলা কৌশল। আর তা চেখে দেখতে ইউটিউবের বাঙালী দর্শকরা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন দলে দলে।
যেমন ধরুন, `কুকিং স্টুডিও বাই উম্মে`। ইউটিউবে অসম্ভব জনপ্রিয় চ্যানেলগুলোর একটি। এর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট লক্ষ। প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চারটি রান্নার ভিডিও আপলোড করা হয় এই চ্যানেলে।
দু`হাজার পনের সালে চালু হওয়া এই চ্যানেলের তোলা ভিডিওগুলি মোট ১৩ কোটি বার দেখা হয়েছে। এতে ৩২টা প্লে-লিস্ট রয়েছে যাতে নানা ধরনের ভিডিও রয়েছে। আচার/সস/চাটনি থেকে শুরু করে বিরিয়ানি, পোলাও, কাবাব কিংবা রয়েছে নানা ধরনের ডেসার্ট।
ঢাকার রুমানা আজাদ `রুমানার রান্নাবান্না` নামে যে ইউটিউব চ্যানেলটি পরিচালনা করেন তার গ্রাহকের সংখ্যা সাড়ে চার লাখেরও বেশি।
২০১২ সালে চ্যানেলটি খোলা হলেও তার এক বছর পর থেকেই পুরাদস্তুর ভিডিও চ্যানেল হিসেবে কাজ শুরু হয়। সন্তান জন্ম নেয়ার সুবাদে তিনি স্কুলে শিক্ষকতা বাদ দিয়ে ঘরে বসে ছিলেন।
তিনি বলেন, এই কাজে প্রথম উৎসাহ আসে আমার হাজব্যান্ডের কাছ থেকে। আমি ঘরে বসে বসে বোর হতে পারি ভেবে সেই আমাকে বললো, তোমার রান্নার হাত তো খুব ভাল। এটা দিয়ে কেন শুরু কর না?
চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত রুমানা আজাদের চ্যানেলে নানা মাপের মোট ৪০১টি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। আর সেগুলো গ্রাহকরা দেখেছেন প্রায় ছয় কোটি বার।
রুমানা তার চ্যানেলের গ্রাহকদের জন্য তৈরি করেছেন ২৪টা প্লে-লিস্ট। ভাজি ভর্তা থেকে শুরু করে মাছ মাংস, মিষ্টির অনেক ভিডিও রয়েছে এই চ্যানেলে।
রুমানা আজাদ জানান, গভীর রাতে শহরের কোলাহল যখন থেমে যায়, তখন শুরু হয় তার চ্যানেলের ভিডিও শুটিং।
তিনি বলেন, ৬/৭ ঘণ্টা লেগে যায় শুটিং শেষ করতে। শুরু করি গভীর রাতে তার পর শেষ হতে হতে কখনও কখনও ফজরের আজান পড়ে যায়।