শরীয়তপুর-২ : আ. লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অজন্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৫৩ এএম, ৯ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শরীয়তপুর-২ আসনের (নড়িয়া) প্রথম সংসদ সদস্য ছিলেন শহীদ এ এফ এম নুরুল হক হাওলাদার। নির্বাচিত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি আঁততায়ীর গুলিতে শহীদ হন। বর্তমানে শরীয়তপুর-২ আসনটি নড়িয়া উপজেলার সাথে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাকে যুক্ত করা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী শহীদ নুরুল হকের কন্যা জোবায়দা হক অজন্তা।
অজন্তা শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের সালধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শেষ করে শহীদ নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে টিএম গিয়াস উদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
জোবায়দা হক অজন্তা নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১০ বছরের সাফল্য সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থণা করছেন। তিনি আশা করছেন দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে তার বাবার সুনাম ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে জনগণের কাঙ্খিত উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।
জোবায়দা হক অজন্তা বলেন, নড়িয়া-সখিপুরের মাটিতে আমার বাবা এমপি নুরুল হকের রক্ত লেগে আছে। এই এলাকার মাটি ও মানুষদের সাথে ছিল তার আত্নিক সম্পর্ক । এই এলাকার উন্নয়নকে মাথায় রেখেই তিনি তার স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন। কিন্তু তার উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তাকে হত্যা করে এই এলাকার মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, শিশু বয়স থেকেই বাবার আদর্শকে বুকে ধারন করে আমরা বড় হয়েছি। আগামী নির্বাচনে আমাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে নৌকার জয়কে সুনিশ্চিত করে বাবার অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের সারথী হয়ে এলাকার মানুষের জন্য নিজেকে নিবেদন করতে চাই।
অজন্তা জানান, তিনি নিয়মিত নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি এলাকার বিশেষ করে নবীন, প্রবীন ও মধ্যবয়সী ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। অজন্তা গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে বিভিন্ন দোয়া অনুষ্ঠানে ও প্রার্থনায় যোগদান করেন।
একজন নারী হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য তিনি ইতোমধ্যে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছেন। তার জনসংযোগ ও বিনয়ী আচরণে ভোটারদের কাছে নতুন আশার আলো হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়।
তিনি আশা করেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দিলে দলের মধ্যে কোন কোন্দল বা অন্তর্দ্বন্দ থাকবে না। সকলে মিলে মিশে এই আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়ে নৌকার বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন।