‘পীস অ্যান্ড হারমোনি’ এক অনন্য কীর্তি
অনন্যা কবীর
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:০৩ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৮ শনিবার
আজ শনিবার ঢাকা লিট ফেষ্ট-এ সমাপনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা কবিতার বই ‘পীস অ্যান্ড হারমোনি’ নিয়ে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হলো। এতে ছিল বইটির ওপর আলোচনা, আবৃত্তি, বইয়ের কবিতা নিয়ে গান ও নৃত্য পরিবেশনা। ‘পীস অ্যান্ড হারমোনি’ বইটিতে দেশের ৭১জন কবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পীস অ্যান্ড হারমোনি’ বইটি বাংলা কাব্যসাহিত্যে অনন্য কীর্তি হয়ে থাকবে। কবিরা সবাইকে নিয়ে কবিতা লেখেন না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিপুলসংখ্যক কবিতা লেখা হয়েছে। এই বইতে কবিদের কবিতায় শেখ হাসিনার জীবন, কর্ম, রাজনীতি, দেশ পরিচালনায় তার মেধা ও দক্ষতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মগুণে দেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। আমি আমার স্নেহধন্য এই ছাত্রীর (শেখ হাসিনা) জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করছি। তাঁর একশত’তম জন্মদিনে তার ওপর একশত কবিতা নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশের জন্য আপনারা প্রস্তুুতি নিন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং সার্বিক দিক দিয়ে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়তে কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজ বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা একাকার হয়ে গেছেন।
আজ বাংলা একাডেমিতে ঢাকা লিট ফেষ্ট-এর শেষ দিনে সকালের অধিবেশনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন কবি কামাল চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান ড.আবুল আজাদ, পীস অ্যান্ড হারমোনি গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদক আনিস মোহাম্মদ ও সম্পাদক প্রফেসর আহমেদ রেজা। একই সাথে ইংরেজী ও বাংলা ভাষায় সম্প্রতি বইটি প্রকাশিত হয়।
কবি কামাল চৌধুরী বলেন, যখন কোন রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে কবিরা কবিতা লেখেন, তখন বুঝতে হবে-সেই নেতা তাঁর জীবন ও কর্মের মাধ্যমে জাতির এক ভাবমূর্তি ধারণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিশ্বের মাঝে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। দেশকে উজ্জ্বল করেছেন। দেশবাসির আকাক্সক্ষাকে বাস্তবায়ন করছেন। এ কারণেই ৭১জন কবির পংক্তিতে উঠে এসেছেন শেখ হাসিনা।
ড. আবুল আজাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন কামনা করে বলেন, এই বইটি আরও অনেক ভাষায় অনূদিত হবে। বিশ্বের নানা ভাষায় প্রকাশ করে আমরা জানিয়ে দিতে চাই কবিরা তাদের কবিতায় প্রধানমন্ত্রীকে কতটা সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে বইয়ের কবিতা থেকে পাঠ করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিয়ষক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, কবি ড. মুহম্মদ সামাদ, কবি তারিক সুজাত। কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন আহকামউল্লাহ ও সংগীতা আহমেদ। পরে বইয়ের কবিতা নিয়ে গান পরিবেশন করেন ইলোরা আজমী। সবশেষে বইটিতে অধ্যপিকা পান্না কায়সারের লেখা কবিতার ওপর নৃত্য পরিবেশিত হয়।