নির্বাচন করতে পারবেন না বিএনপি নেত্রী সাবিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার
যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও যশোর-২ আসন থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানার কারাদণ্ড ও সাজা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থাগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ শনিবার হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। একইসঙ্গে আগামীকাল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর সাবিরা সুলতানার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।
এর আগে মিথ্যা তথ্য ও জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবিরা সুলতানাকে গত ১২ জুলাই ঢাকার বিশেষ আদালতের বিচারক ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে দুটি ধারায় পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ে সাবিরা সুলতানার এক কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও আদেশ দেওয়া হয়।
এরপর গত ১৭ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ওই রায়ের দণ্ড ও সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করলে তা গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন।
এরপর এ মামলায় গত ৬ আগস্ট সাবিরা সুলতানা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। পরে গত ১৪ অক্টোবর ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারায় দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন তিনি। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ তার আবেদন মঞ্জুর করা হয়। গত ২০১০ সালের ২০ জুলাই সৈয়দ আহমেদ (দুদকের সহকারী পরিচালক) বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২৪ মে সাবিরা সুলতানা তার ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা সম্পদের হিসাব জমা দেন দুদকে। পরবর্তী সময়ে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায় ৪৫ লাখ টাকার সম্পদের বিষয়ে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়াসহ এক কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকার সম্পত্তি অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন সাবিরা সুলতানা। যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।