নির্বাচনে নারীপ্রার্থীর সংখ্যা আশাব্যাঞ্জক নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৫:২৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার
ছবি : সংগ্রহ করা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী আর মাত্র ১৩ দিন। নির্বাচনকে সামনে রেখে উৎসবমুখর সারা দেশ। ভোট উৎসবে সমানতালে প্রচারণায় ব্যস্ত নারী প্রার্থীরাও। এবারের নির্বাচনে বড় দুই জোটের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৫ জন নারী প্রার্থী। অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো রাজনীতিতেও নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সারা দেশ। প্রচারণায় সারাক্ষণই মুখর দেশের প্রতিটি এলাকা। পিছিয়ে নেই নারী প্রার্থীরাও। ভোটের মাঠে সংখ্যায় বেশি না হলেও এবারও রয়েছে নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ। দলে কিংবা নির্বাচনে তুলনামূলক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয় তাদের। তবে নিজেরা বিজয়ী হলে নারীর উন্নয়নসহ নানা পরিকল্পনার কথা বলছেন নারী প্রার্থীরা।
নারী কিংবা পুরুষ বলে কথা নয় যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেয়ার কথা বলছেন সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে নারী ভোটাররা প্রাধান্য দিচ্ছেন তাদের সমঅধিকার ও নিরাপত্তাকে।
নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে পারিবারিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে নয় বরং যোগ্যতার ভিত্তিতে নারী পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার পরামর্শ নারী আন্দোলন কর্মী ও বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলেন, আমাদের পরিষ্কার দাবি ছিল, সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা, শুধু প্রাধান্যের বিষয় না দলগুলোতে সে অনুযায়ী সুযোগ দিতে হবে। নারীদের মনোনয়ন দিতে হবে আরো অনেক বেশি সংখ্যায়।
এ প্রসঙ্গে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, এবার নারী প্রার্থীর সংখ্যা খুবই কম। দলগুলো অল্প কিছু নারীকে মনোনয়ন দিয়েছে। এমন এমন জায়গায় নারী প্রার্থী দেওয়া হয়েছে, যেখানে দলের জেতার সম্ভাবনা খুবই কম। এটা একধরনের সমঝোতার কৌশল। নারীকে প্রার্থী করতে হবে বলে করা। নারীকে জয়ী করার জন্য দলকে যে কষ্ট করতে হয়, তা করতে দলগুলো কতটা প্রস্তুত, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৪১ জন প্রার্থীর মধ্যে মোট নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬৫ জন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৭ জন। বিগত ১০ বছরে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ৮। দলের তৃণমূলে যোগ্য নারী নেত্রীদের প্রাধান্য দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করলেই কেবল রাজনীতিতে নারীর আশানুরূপ অংশগ্রহণ বাড়বে বলে মনে করেন নারী আন্দোলন কর্মীরা।