তিন নারী তারকার আয়-ব্যয়ের হিসেব
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের হিসেব নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও এই আগ্রহের ব্যতিক্রম হয়নি। প্রকাশ করা হয়েছে প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের হিসেব।
নির্বাচনের নিয়মানুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীদের এই হলফনামা দাখিল করতে হয়। এই হলফ নামায় প্রার্থীদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত ও আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিতে হয়।
প্রার্থীরা এসব তথ্য দেয়ার ফলে ভোটাররা তাদের ভোট দেয়ার আগেই প্রার্থী সম্পর্কে একটি ধারণা পেতে পারেন। এই তথ্য নির্বাচন কমিশন বা ইসি'র ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়, যাতে যে কেউ চাইলেই এটি দেখতে পারেন।
এখানে দুই প্রধান দলের তিনজন নারী তারকা প্রার্থীর আয়-ব্যয়ের হিসেবের অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো:
মমতাজ বেগম (মানিকগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগ):
লোকসঙ্গীত শিল্পী মমতাজ বেগম প্রথমবার সংসদে যোগদান করেন ২০০৯ সালে।
তিনি ৯ম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন।
এরপর ২০১৪ সালে ১০ম সংসদ নির্বাচনে তিনি মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
তার হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, তার আয় আনুমানিক ৩৯ লক্ষ টাকা।
তার কাছে নগদ রয়েছে পাঁচ লক্ষ টাকা। স্বামীর নামে রয়েছে ২০ লক্ষ টাকা।
তার নিজের নামে ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে ৮৬ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা। স্বামীর নামে ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে ২০ লক্ষ টাকা।
এর বাইরে মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজের শেয়ার রয়েছে তার নামে সাড়ে তিন কোটি টাকার।
আর তিন সন্তানের নামে শেয়ার রয়েছে ৬৫ লক্ষ টাকার।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে মমতাজের রয়েছে মহাখালীতে পাঁচ কাঠা জমির ওপর পাঁচ তলা ভবন, যার মূল্য ধরা হয়েছে ছয় কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা।
আর মানিকগঞ্জে ২১ শতক জমির ওপর দালান, যার মূল্য ৫৭ লক্ষ টাকা।
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ-১ বিএনপি):
কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ, যিনি কনকচাঁপা নামেই বেশি পরিচিত, লড়ছেন সিরাজগঞ্জ-১ অর্থাৎ কাজীপুর আসন থেকে। এটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি।
কনকচাঁপা তার হলফনামায় জানিয়েছেন, পেশা থেকে তার আয় হয়েছে ছয় লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। অন্যান্য সূত্রে আয় হয়েছে চার লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।
তার কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ৬৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রয়েছে ৬৯ লক্ষ টাকা।
শেয়ার রয়েছে তিন লক্ষ ৩১ হাজার টাকার। কৃষি জমি রয়েছে ২০ লক্ষ টাকার। অকৃষি জমি, ২৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার। আর তার অ্যাপার্টমেন্টের দাম ধরা হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা।
বেবি নাজনীন (নীলফামারী-৪, বিএনপি):
কণ্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন নীলফামারীর সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী।
দলের পক্ষে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র ও সাবেক সাংসদ মো. আমজাদ হোসেন সরকারও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ের পর তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
বেবি নাজনীন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক।
তিনি যে হলফনামা দাখিল করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, তার কাছে বর্তমানে নগদ টাকা রয়েছে পাঁচ লক্ষ।
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
এছাড়া রয়েছে এক লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার। ৪৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী। ৬৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র এবং ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট।
পেশা থেকে তার আয় হয়েছে পাঁচ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
সূত্র : বিবিসি