ঢাকা, শুক্রবার ২৯, নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২৭:৪১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সর্বস্তরের জনগণের উন্নয়নে পাশে থাকব: সালমা ইসলাম

রীতা ভৌমিক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৩ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার

অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম (এমপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ এলাকা ঢাকা-১ আসনের দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন। দোহারের আটটি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা এবং নবাবগঞ্জের চৌদ্দটি ইউনিয়নের একপ্রাপ্ত থেকে আরেকপ্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। এই দুই উপজেলার নারী ও তরুণ ভোটারের সংখ্যা বেশি। 

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জের স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনি। মোটরগাড়ি মার্কায় নির্বাচন করছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের সালমান এফ রহমান। সালমা ইসলাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী। নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি নির্বাচিত সংসদ সদস্য তিনি।

নারী ও তরুণ ভোটারদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন জানতে চাইলে সালমা ইসলাম (এমপি) বলেন, ‘নির্বাচন এলাকার দুই উপজেলার প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে একজন সুযোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভোট প্রার্থণা করছি। উঠোন বৈঠক করছি। মার্কেটগুলোতেও নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে  পেয়ে নারী ও তরুণ ভোটাদের মধ্যে অনেক উৎসাহ, উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণায় স্বতস্ফূর্তভাবে তারা আমাকে সহযোগিতা করছেন। নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকারের কথা বলছেন।’

তিনি বলেন, ‘বাল্যবিয়ের শিকার হয়ে যাতে আর একটি মেয়েরও লেখাপড়া বন্ধ না হয়ে যায়। তাদের সুন্দর জীবন নষ্ট না হয়ে যায়, সেদিকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন নারী ভোটাররা। গতবারও আমি এই দুই উপজেলার বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  রেখেছিলাম। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আমার উদ্যোগ গ্রহণে তারা সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতেও তা চলমান থাকবে।’ 

সালমা ইসলাম বলেন, ‘তরুণরা তাদের স্বপ্নের কথা জানাচ্ছেন। সেই স্বপ্নের মধ্যে কর্মসংস্থানের দাবি যেমন রয়েছে, তেমনি মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতির আহ্বানও রয়েছে। তারা সুস্থ সমাজ বির্নিমাণ নিয়ে ভাবছেন। এর ফলে নারী ও তরুণ সমাজের মধ্যে আমি আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।’

ঢাকা-১ আসনের দোহার-নবাবগঞ্জ ঘুরে দেখা গেল এখানকার সর্বস্তরের জনগণ চান একজন গ্রহণযোগ্য প্রতিনিধি। যিনি তাদের সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। তাদের সুখে-দুখে পাশে থাকবেন। কাছে টেনে নিবেন। জনগণের কল্যাণে আগ্রহী হবেন। সালমা ইসলামের মধ্যে তারা এই গুণাবলীর সবগুলোই দেখছেন। এলাকাবাসী হেভিওয়েট প্রতিনিধি নয় তারা চান সালমা ইসলামের মতো সৎ, বিশ্বাসী, নির্ভীক, জনকল্যাণে আগ্রহী একজন প্রতিনিধি। কারণ তিনি দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। ভবিষ্যতেও করবেন।  

জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে জিনজিরা-কেরানীগঞ্জ-নবাবগঞ্জ-দোহার-শ্রীনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত প্রকল্পে ৪৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২২টি সড়কের কার্পেটিং কাজ সম্পন্ন করেছেন। গ্রাম পর্যায়ে ৫৩টি কাঁচা ও আধাপাকা সড়ক নির্মাণ, ৯৫টি ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করেছেন। বর্ন্যার্তদের জন্যে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। দুস্থ নারীদের উন্নয়নে ২ হাজার ২১৮টি সেলাই মেশিন প্রদান করে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। শিক্ষার উন্নয়নে ৮৫টি স্কুল-কলেজের ভবন নির্মাণ। এছাড়া ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছেন। ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সোলার প্যানেল স্থাপন করেছেন। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নবাবগঞ্জ এবং দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আধুনিকীকরণ করেছেন। দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন। ইসিজি মেশিন, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন ও জেনারেটর প্রদান করেছেন। এছাড়া গ্রাম পর্যায়ে ২২টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন।

ভোটারদের কাছে নির্বাচনী অঙ্গীকার প্রসঙ্গে সালমা ইসলাম বলেন, ‘বাল্যবিয়ে বন্ধ এবং যৌতুক নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নারীর অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করব। যুব সমাজের মধ্যে বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা দূরীকরণে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।’

তিনি বলেন, ‘মাদক ও সন্ত্রাস নিমূর্লে সর্বাত্নক কাজ করবো। আশা করি, শীঘ্রই নবাবগঞ্জ-দোহার উপজেলা মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণা করব। দুস্থ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। তরুণদের জন্য সুখবর তথ্য ও প্রযুক্তি তাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিব। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করবো। যাতে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।’ 

সালমা ইসলাম আরও বলেন, ‘দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার পদ্মার পাড়ে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলবো। এর ফলে এলাকার যুবকদের বেকারত্বও কিছুটা ঘুচবে। সর্বোপরি বলতে চাই সর্বস্তরের জনগণের উন্নয়নে আমি তাদের পাশে থাকব।’