অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার পেলেন আকিমুন রহমান
আসমা জেরিন
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:২৮ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০১৯ শনিবার
পুরস্কার গ্রহণ করছেন ড. আকিমুন রহমান
সাহিত্যে বিশেষ অবদান স্বীকৃতি হিসেবে ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৪২৫’ পেলেন কথাসাহিত্যিক, গবেষক ও শিক্ষক ড. আকিমুন রহমান।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ সাহিত্যিকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এসময় তার দীর্ঘ কর্মময় জীবন নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও লেখককে উত্তরীয় পরিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।
অনুষ্ঠানে পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি আসাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাবন্ধিক অধ্যাপক আকতার কামাল।
কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময়কে কী চমৎকার করে তিনি তার লেখায় তুলে ধরেছেন। লেখকের লেখা পড়লে বোঝা যায়, তিনি শুধু চিন্তা, বিনোদন বা মনের খোরাকের জন্য লেখেন না। বরং তার লেখা আমাদের হয়ে ওঠার জন্য লেখেন।
অধ্যাপক আকতার কামাল বলেন, এই পুরস্কারটি যিনি পেয়েছেন, তার এটা প্রাপ্য ছিল। তিনি লেখেন দায়িত্ববোধ থেকে। তার লেখা অত্যন্ত দারুণ, সুন্দর এবং গতিময়। এই লেখক আমার ছাত্রী, তাই আমি আরও বেশি গর্ববোধ করছি।
ড. আকিমুন রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পুরস্কারটি পেয়ে আমার ভীষণ অস্বস্তি হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে যে, ঘুমের আগে সহস্র মাইল পথ চলার আছে এবং আমি মাত্র চেষ্টা করে যাচ্ছি, এখনি পুরস্কৃত হওয়ার কিছু হয়নি।
সভাপতির বক্তব্যে তাসমিমা হোসেন বলেন, ড. আকিমুন রহমানের লেখনীতে নারীর স্বরূপ আমরা বিভিন্ন রূপে দেখতে পাই। তিনি তার লেখনীতে নারী জীবনের বিভিন্ন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন অনন্য সৌন্দর্যে। তাকে সম্মানিত করতে পেরে আমরা নিজেরাও সম্মানিত বোধ করছি।
অধ্যাপক ড. আকিমুন রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে পিএইচডি করেছেন ড. হুমায়ুন আজাদের তত্ত্বাবধানে। তার গবেষণাপত্র ‘আধুনিক বাংলা উপন্যাসে বাস্তবতার স্বরূপ (১৯২০-’৫০)’ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় বাংলা একাডেমি থেকে। তিনি মূলত ঔপন্যাসিক, গল্পকার এবং প্রাবন্ধিক হিসেবেই সুপরিচিত। এছাড়া লেখালেখির পাশাপাশি দীর্ঘদিন জড়িত রয়েছেন শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে।
১৯৯৬ সালে ‘বিবি থেকে বেগম’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে এই লেখক ব্যাপক আলোচিত হন। এছাড়া তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে- আধুনিক বাংলা উপন্যাসে বাস্তবতার স্বরূপ, সোনার খড়কুটো, পুরুষের পৃথিবীতে এক মেয়ে, রক্তপুঁজে গেঁথে যাওয়া মাছি, এইসব নিভৃত কুহক, জীবনের পুরোনো বৃত্তান্ত, নিরন্তর পুরুষ ভাবনা, পৌরাণিক পুরুষ, বাংলা সাহিত্যে বাস্তবতার দলিল (১৩১৮-১৩৫০ বঙ্গাব্দ), সাক্ষী কেবল চৈত্রমাসের দিন আদি পর্ব, যখন ঘাসেরা আমার বড়, অচীন আলোকুমার ও নগন্য মানবী প্রভৃতি।