ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ৪:৫১:৪৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সরাসরি নির্বাচিত ২২ নারী, ক’জন থাকবেন মন্ত্রিসভায় 

অনলাইন প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৪ এএম, ৬ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার

শপথ নিচ্ছেন নবনির্বাচিত সাংসদরা। ছবি : সংগ্রহ করা

শপথ নিচ্ছেন নবনির্বাচিত সাংসদরা। ছবি : সংগ্রহ করা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন নারী। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে এত বেশি সংখ্যক নারী নির্বাচিত হলেন। 

তাদের মধ্যে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১৯ জন, জাতীয় পার্টি থেকে দু’জন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ থেকে একজন নারী নির্বাচিত হয়েছেন। ৩ জানুয়ারি শপথ নিয়েছেন তারা। আগামীকাল ৭ জানুয়ারি সোমবার মন্ত্রিসভার শপথ। নির্বাচিত ২২ নারীর ক’জন স্থান পাবেন মন্ত্রিসভায়? 

এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তি সরকারে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন মতিয়া চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী ছিলেন মুন্নুজান সুফিয়ান, নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন মেহের আফরোজ চুমকি। এছাড়াও ইসমত আরা সাদেক ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এই চারজনই সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

এবারে মন্ত্রিসভায় চমকের কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানিয়েছেন, ৭ জানুয়ারি সোমবার গঠিত হচ্ছে মন্ত্রিসভা, থাকবে বিশেষ চমক। 

এদিকে আভাস পাওয়া গেছে, এবার মন্ত্রিসভায় রেকর্ড পরিমান নারী থাকছেন। গতবারের অধিকাংশ নারী সদস্য এবারের মন্ত্রিসভায়ও থাকছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এবারও কৃষিমন্ত্রী থাকছেন মতিয়া চৌধুরী। মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  জাতীয় নেতা শহীদ তাজুদ্দীন আহমদে কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। গত মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী মেহের আফেরোজ চুমকির নামও শোনা যাচ্ছে জোরেসোরে। বেগম মন্নুজান সুফিয়ান আর ইসমত আরা সাদেক বহাল থাকতে পারেন আগের মন্ত্রণালয়েই। 

এছাড়াও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হয়ে তারানা হালিম মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে পারে আগামীতে। এবার নির্বাচিত সাংসদদের মধ্যে নতুন মুখ নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমাদ মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। এছাড়া জাসদ নেতা শিরীন আখতার এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৮ জন। যা এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও নির্বাচিত হওয়া দু’দিক থেকেই নারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। সঙ্গত কারণেই দেশবাসীর প্রত্যাশা আগামী সরকারে মন্ত্রিসভায় স্থান করে নেবেন আরো বেশি সংখ্যক নারী।  

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ১ হাজার ৮৪৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৮ জন নারী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এবার মোট ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।

নির্বাচনে বিজয়ী নারীরা হলেন: গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা, রংপুর-৬ শিরীন শারমিন চৌধুরী, শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, গাইবান্ধা-২ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, নেত্রকোণা-৪ রেবেকা মমিন, সুনামগঞ্জ-২ জয়া সেনগুপ্ত, যশোর-৬ ইসমাত আরা সাদেক, ময়মনসিংহ-৪ রওশন এরশাদ (জাতীয় পার্টি), বাগেরহাট-৩ হাবিবুন নাহার, খুলনা-৩ মন্নুজান সুফিয়ান,  মুন্সিগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, ঢাকা-১৮ সাহারা খাতুন, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি, মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম, গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ চুমকি, কুমিল্লা-২ সেলিমা আহমাদ, চাঁদপুর-৩ দীপু মনি, নোয়াখালী-৬ আয়েশা ফেরদাউস, ফরিদপুর-২ সাজেদা চৌধুরী, ফেনী-১ শিরীন আখতার (জাসদ), বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতনা (জাতীয় পার্টি) ও কক্সবাজার-৪ শাহিন আক্তার চৌধুরী।