ভয়ংকর চুড়েলের গল্প
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:০৯ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার
তখন আমি সিলেট বিভাগের জেলা ছাতকের খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকতা। আমাদের অফিসটা ছিল সুরমা নদী কোল ঘেষে। গাছগাছালী ঘেরা ছায়া মনোরম এক পরিবেশ। আমার অফিস থেকে একটু হেটে কিছুদূর গেলেই সুরমা নদীর পাড়ে ঘেষে একটা শশ্মান। ঐ শশ্মানে একটা মানুষ প্রমাণ কালীর মূর্তি ছিল। কালীর মূর্তিটার সারা শরীর ছিল কালো রংয়ের ছিল। পরনেও ছিল কালো রংয়ের একটা শাড়ি।
পেছনে কালো এলোমেলো চুল গুলো নিতম্ব ছেড়ে নিচে নেমেছে। এক হাতে ত্রিশুল, আরেক হাতে একটা সাপ। মুখ থেকে অনেকটা বেরিয়ে থাকা লাল রংয়ের জিব্হাটা মুখ থেকে ভয়ংকর ভাবে বের হয়ে বুক ছুয়েছে। চোখ দুটি টকটকে লাল। ভয়ংকরভাবে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ দেখলে চমকে উঠতে হয়। দিনের বেলা মূর্তিটাকে দেখলে তেমন একটা ভয় লাগত না, কিন্তু সন্ধ্যা বেলা পড়ন্ত সূর্যের আলোয় দেখলে বুকের ভিতর অজানা এক ভয়ের শিহরন জাগত। তখন মনে হত ওটা মুর্তি নয়, সত্যি জীবন্ত ভয়ংকর এক মানবী।
আমি শিহরীত হওয়ার জন্য প্রায় সন্ধ্যা বেলায় যেতাম। আমার এভাবে ওই সময় প্রায় যেতে দেখে অফিসের দাড়োয়ান একদিন বলল, স্যার শশ্মান জায়গাটা তেমন ভালো না আপনি সন্ধ্যার সময় ওদিকটা না গেলেই ভাল হয়।
আমি দাড়োয়ানের কথা শুনে মনে মনে হাসলাম। এই পৃথিবীতে যা নাই তা নিয়ে কেউ ভয় পেলে যে কোন বুদ্ধিমান লোক হাসতে বাধ্য। কিন্তু দাড়োয়ান বয়ষ্ক মানুষ আমাকে হাসতে দেখে মনে কষ্ট পেতে পারে তাই মনে মনেই হাসতে হলো।
আমি ওকে (দাড়োয়ান) প্রশ্ন করলাম : কেন ওখানে তেমন কিছু হয়েছে নাকি ?
আমার কথা শুনে দাড়োয়ান দুই চোখ বড় বড় করে বলল, স্যার এই গত কয়েকদিন আগের ঘটনা এক পরিবার নতুন বউ নিয়ে সুরমা নদীর পাড় দিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছিল। আছরের নামাজের পর এসেছিল। ঘরে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। ফেরার সময় শশ্মানটা যখন পাড় হচ্ছিল তখনই শান্ত লাজুক বউটা হঠাৎ দৌড়ে শশ্মানের ভেতর ঢুকে গেল। পরিবারের লোকেরা কিছু বুঝে উঠার আগেই বউটি দৌড়ে কালীর মূর্তির কাছে যেয়ে চিৎকার করে বলতে লাগল, দে আমায় ফিরিয়ে দে। স্যার বিশ্বাস করবেন না তখন কি যে এক অবস্থা।
শেষে আমি যেয়ে দোয়া পড়ে ফু দেওয়ার পর বউটি বেহুশ হয়ে কালী মূর্তির পায়ের কাছে পড়ে গেল। তখন আমি পরিবারের লোকদের বললাম নিয়ে যেতে।
আমি ঘটনা শুনে কোনো মন্তব্য করলাম না। করে কি হবে। ওরা শত শত বছর ধরে যে বিশ্বাস বংশ পরষ্পরায় বুকে ধারন করে চলছে তা আমি এক লহমায় ওদের অন্তর থেকেত মুছে দিতে পারব না। তাই চুপ করে থাকলাম। আমার চুপ করে থাকাকে দাড়োয়ান কি বুঝল জানি না। হয়ত সে ভেবেছে আমি তার কথা বিশ্বাস করেছি কিংবা ভয় পেয়েছি।
সে এবার বলল, স্যার এখানে এসেছেন একটু সাবধানে চলা ফেরা করবেন।
আমি ওর কথা শুনে কৌতুহলী হয়ে উঠলাম, কেন?
সাবধানে চলাফেরা করতে হবে কেন? এখানে কি দিন দুপুরে ছিনতাই ডাকাতি হয় নাকি?
সে বলল, না স্যার তার চেয়েও ভয়ংকর ঘটনা ঘটে।
আমি প্রশ্ন করলাম কেমন?
তিনি বললেন, তাহলে শুনুন।
দাড়োয়ান এক কদম এগিয়ে আমার কানের কাছে তার মুখটা নামিয়ে (আমি চেয়ারে বসা ছিলাম। ও দাড়ানো ছিল।) বলল: স্যার এখান থেকে শ ২০০ গজ সামনে
গেলেই বাম দিকে একটা মাটির রাস্তা গেছে।
রাস্তাটা এখন কেউ ব্যাবহার করে না তাই ঘাসে ছেযে গেছে। রাস্তাটা ধরে কিছুদূর গেলেই দেখবেন বিশাল এক জমিদার টাইপের বাড়ি।
: জমিদার বাড়ি না হয়ে জমিদার টাইপের বাড়ি কেন?
: কারণ বাড়িটা কোনো জমিদার তৈরি করেনি। এক
লন্ডনী ধনী ব্যক্তি তৈরি করেছে। ওই জায়গাটা আগে একটা দীঘি ছিল। প্রায় ১০ বিঘা জায়গার উপর। ওই লোক ১০ বিঘার মধ্য দুই বিঘা ভরাট করেছে বাড়ি করেছে। আর আট বিঘা দীঘি হিসেবে রেখে দিয়েছে। বাড়িটা খুব সুন্দর জমিদারী নকশায় এরকম বাড়ি আমাদের সিলেটে আর কোথাও নাই। এই এত সুন্দর বাড়িতে কিন্তু কেউ থাকে না। সম্পূর্ন নির্জন বাড়িটা ওভাবেই খালি পড়ে আছে আজ অনেক বছর।
: কারণ কি? খালি পড়ে আছে কেন?
: তা জানি না, তবে শুনি অনেক কথা।
আমি বুঝতে পারলাম ব্যাটা দাড়োয়ান এখনি আজব আজব গল্প শুরু করে দিবে। তাই তাড়াতাড়ি তাকে কাজের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সরিয়ে দিলাম।
এরপর বেশ কদিন খুব ব্যাস্ততায় কাটল প্রায় রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে। সরকারি কাবিখা প্রকল্পের কিছু গম এসেছিল ওগুলো বুঝে নেওয়া আবার স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বিলি করা এই সবে কেটে গেল কয়েকটা দিন। ব্যাস্ততা কেটে যাওয়ার পর দিন আবার আগের মতো।
বিকালের পর প্রতিদিন অবসর। একদিন বিকেলে অফিসের হিসাব-কিতাব মিলিয়ে অনেকটা অবসর পেয়ে গেলাম। অফিস থেকে বের হয়ে সুরমা নদীর পার ধরে হাটতে লাগলাম। রোদ আছে তবে তার আলোটা তেমন তির্যক না। যেটুকু তাপ আছে সুরমার স্রোত ভেজা বাতাসে তা অনেকটা হিমেল হয়ে আছে। আমি অলস পায়ে হাটতে হাটতে শশ্মান পার হয়ে অনেকটা সামনে এগিয়ে গেলাম। এদিকটা অনেকটা নির্জন সুরমা নদী এখানে অনেকটা দূরে। আমি আসতে আসতে হাঁটছি আর
দুপাশে তাকাচ্ছি। এই সময় দেখতে পেলাম জমিদার বাড়িটা। ভেঙ্গে চুড়ে যাওয়া লোহার গেটটা দিয়ে ভেতরে পুরাটাই দেখা যাচ্ছে। বিশাল ঘেরাওয়ের
মাঝে বাড়িটা।
জমকালো দোতলা বাড়ি। সামনে বাগান। যদিও ওখানে এখন বুনো দুই একটা ফুল গাছ ছাড়া আর কোনো গাছ নেই। বাগানটার পরেই বাড়িটার সামনে আনেক উঁচু উঁচু দেবদাড়ু গাছ। সুরমা নদী বেয়ে আসা বাতাসে দুলছে। এত সুন্দর বাড়িটা বাইরে থেকে দেখে ভেতরে যাওয়ার লোভটা আর সামলাতে পারলাম না। আমি ধীরে ধীরে গেট পেরিয়ে ক্ষয়ে যাওয়া ইটের রাস্তা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। বাড়িটার সামনে বিশাল লম্বা বারান্দা। বারান্দার পরে সেগুন গাছের তিনটা দরজা। দুই পাশের দুটি দরজা মাঝখানের দরজাটির চেয়ে ছোট।
মাঝখানের দরজাটি প্রায় ১০ ফুট উঁচু। দরজা তিনটিতেই প্রচুর নকশা কাটা। ঝড়–বাদলে দরজার রংগুলো কিছুটা ম্লান হলেও দেখতে বুঝা যায় দরজা গুলো এখনো মজবুত। বিশাল বিশাল আটটা জানালা। এগুলো বন্ধ। দোতালায়ও বারান্দা আছে সেখানে কাঠের নকশাদার রেলিং। রেলিংগুলো কালো রঙের বোঝাই যায় ওগুলো গর্জন গাছের। এগুলো ও শক্ত। বাড়ির ছাদটা টিনের চালের লাল রঙের সিরামিক ইটের টালী দিয়ে ছাওয়া। ইটের লাল রঙের জৌলুসটা নাই। আমি একমনে দেখছি আর ভাবছি কি সুন্দর বাড়িটা।
একটু বায়ে ঘুরে সামনে এগিয়ে যেতেই বুকের ভেতর হৃৎপিন্ডটা লাফ দিয়ে উঠল। নারী কণ্ঠে কে যেন কথা বলল। পেছনে ফিরতেই দেখি বরফ সাদা রঙের শাড়ি পড়া বেশ লম্বা, হালকা পাতলা গড়নের অপূর্ব সুন্দরী এক তরুণী।
আমি অনেকটা হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম। তরুণী আমাকে প্রশ্ন করল, কাকে চাচ্ছেন?
আমি দ্রুত নিজেকে সামলে নিলাম।
: কাউকে না হাঁটতে হাঁটতে এই সুন্দর নির্জন বাড়িটা চোখে পড়ল তাই একটু দেখছি।
তরুণীটি হেসে ফেলল : এই পুরাতন বাড়িতে দেখার কি আছে? আপনি যেভাবে মনোযোগ দিয়ে দেখছেন। আমি অনেকক্ষণ হয় এসেছি আপনার তন্ময়তা ডাকিনি।
: আপনি?
: আমি? আমি এই বাড়িতে থাকি।
আমি অবাক হয়ে গেলাম : আমি যতটুকু শুনেছি , এই বাড়িতে কেউ থাকে না।
: আপনি ঠিকই শুনেছেন। আমি লন্ডন থেকে গতকাল এসেছি। বাড়িটা বিক্রির ব্যাপারে। আপনি?
: আমি আপনাদের স্থানীয় কেউ না।
: সে আপনার ভাষার উচ্চারন শুনেই বুঝেছি। তা কীভাবে আমাদের এখানে এলেন?
: আমি বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রনালয়ে চাকরি করি।
বেশ কিছু দিন হল ওসি এল এসডি হিসেবে পোস্টিং হয়ে এসেছি।
: ও। চলুন যাওয়া যাক।
: কোথায়?
: বাহ! বাড়ির সামনেরটাই দেখবেন পেছনটা দেখবেন না?
: পেছনটাও দেখা যাবে নাকি। তাহলে তো ভালোই হয়। তরুণী সামনে চলতে লাগল, আমি পেছন পেছন যাচ্ছি।
সাদা শাড়িতে খুব সুন্দর লাগছে। চিকন কোমরের নিচে শাড়ির আচল বাতাসে উঠছে আর নামছে। তরুণী শাড়িটি এমন ভাবে পড়েছে পা এতটুকুও দেখা যাচ্ছে না। বাড়ির পেছন দিকে এসে তো আমি আরও অবাক হয়ে গেলাম। বিশাল এক দীঘি।
স্বচ্ছ তার পানি। পাড়ের চারদিকে বড় বড় অনেক উঁচু নারকেল গাছ দুই একটা তাল গাছও আছে। দীঘির পাড়ে শান বাঁধানো একটি বড়সড় এক ঘাট।
ঘাটের গেটে মানুষ সমান প্রায় উলঙ্গ দুটি নারী
মূর্তি। ঘাটে বসার ব্যবস্থা আছে।
: চলুন আগে কিছুক্ষণ ঘাটে বসি। এখানে দীঘির হিমেল বাতাসে গায়ের ঘাম শুকিয়ে নেই তারপর ভেতরে যাব। আমি মনে মনে তাই চাইছিলাম তাই কোনো বাক্য ব্যয় না
করে, ঘাটের আসনে বসে গেলাম। তরুণী পাশে এসে বসল। আমার তরুণীটির আচরণে প্রথম প্রথম খটকা লাগলেও পরে নিজের মনে একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করলাম। কারণ আমাদের দেশে মেয়েরা এতটা অগ্রসর এখনও হয়নি। প্রথম দেখাতেই যেভাবে সে আমাকে নিসংকোচে এতটা কাছে আসার সুযোগ দিয়েছে, ভাবতেই অবাক লাগে।
এটা সম্ভব একমাত্র ইউরোপ আমেরিকার মতো পরিবেশে কেউ দীর্ঘদিন থাকলে বা সেখানে জন্মালে।
: কি ভাবছেন। আমাকে নিয়ে ভাবছেন না তো?
আমি চমকে উঠলাম। আমার চমকে উঠা দেখে
মেয়েটি চুড়ি ভাঙা রিনঝিন শব্দে হেসে উঠল।
: কি? আমি ঠিক বলেছি তাই না। আমি অস্বীকার করতে পারলাম না। তাই মাথাটা উপর নিচ করে স্বীকার করলাম।
তরুণী কপট রাগে বলল : কাজটা ঠিক করেননি। কারণ আমাকে নিয়ে যারাই ভাবে তারা ডুবে মরে।
আমি অবাক হয়ে বললাম: বুঝলাম না।
: মানে আমার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে ডুবে মরে।
এই বলে মেয়েটি আবার হাসতে লাগল।
নির্জন এই দীঘির পাড়ে মেয়েটির হাসিতে আমি
যেন এক অশুভ ছায়া দেখতে পেলাম।
হাসি থামিয়ে মেয়েটি দীঘির সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে বলল : আসুন মুখ হাত ধুয়ে নিন তারপর
বাড়ির ভেতরটা দেখাতে নিয়ে যাব।
আমি সিড়ি দিয়ে নেমে পায়ের গোড়ালী ডোবা পানিতে দাড়ালাম। নিচে পানিতে ডোবা পায়ের দিকে তাকাতে দেখতে পেলাম তরুণীটির শাড়ি পানিতে ভেসে উপরে উঠে গেছে , ওর পায়ের পাতা দেখা যাছ্ছে। ওর পা দেখে ভয়ে চমকে উঠলাম। তরুণীটির পায়ের গোড়ালী দেহের সামনের দিকে পায়ের আংগুল দেহের পেছন দিকে। আমার চমকে উঠা দেখেই তরুণী বুজে ফেলল আমি ওর পায়ের গঠনটা দেখে ফেলেছি।
তখন সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জাপটে ধরল। আমি দেখতে পেলাম ওর দু’চোখ আগুনে জ্বলা গনগনে কয়লার মতো লাল হয়ে গেছে। তিক্ষ্ন কণ্ঠে অপার্থিব এক চিৎকার করে আমাকে নিয়ে দীঘির জলে ঝাপিয়ে পড়ল। পানিতে ডুবে যাওয়ার শেষ মূহূর্তে দেখতে পেলাম কে যেন ঘাটে এসে দাঁড়িয়েছে।
প্রায় তিনদিন পর আমার জ্ঞান ফিরল। দেখতে পেলাম আমি একটি মাটির ঘরে শুয়ে আছি। আমি চোখ খুলতেই দেখতে পেলাম দারোয়ানকে।
তাকে দেখে উঠতে চাইলেই ও আমাকে জোর করে শুইয়ে দিল। আবার আমি ঘুমিয়ে গেলাম। তারপর দিন সকালে মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠলাম। আমি এবার আর নিজের কৌতূহল ধরে রাখতে পারলাম না।
দারোয়ান বলল: আপনি চুড়েলের পাল্লায়
পড়েছিলেন। চুড়েল এক নারী প্রেতআত্মা। এরা গভীর জঙ্গল নদী ও অব্যহৃত দীঘিতে থাকে। এরা বেশির ভাগ সময় উলঙ্গ নারীর বেশে যুবক পুরুষদের আকৃষ্ট করে। এরা খুবই নিষ্ঠুর আর পিশাচ। এরা যুবক পুরুষদের খুব নৃশংসভাবে হত্যা করে। আপনার আগেও অনেক যুবক ওই দীঘির পানিতে ডুবে মারা গেছে। কিন্তু আমরা এলাকার কেউ জানতে পারিনি কীভাবে মারা গেছে এখন আপনার ঘটনায় ব্যাপারটা জানা গেল।
আপনাকে ওইদিন থেকেই খেয়াল রাখছিলাম বলে বেঁচে গেছেন।
আমার হঠাৎ একটা কথা মনে পড়ে গেল বিখ্যাত শিকারী জিম করবেটও একবার শিকার করার সময় জঙ্গলে চুড়েল দেখেছিলেন।
সূত্র : সংগৃহীত