ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ৪:৪৩:৫০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বাণিজ্যমেলা: জমজমাট জয়িতার প্যাভিলিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৯ রবিবার

জমছে বাণিজ্যমেলা, প্রতিদিনই বাড়ছে ভীড়। জমে উঠছে জয়িতার প্যাভিলিয়নও। এবারের মেলায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নিজস্ব পণ্যসামগ্রী নিয়ে জয়িতার প্যাভিলিয়নে হাজির হয়েছেন ৪০ জন নারী উদ্যোক্তা। রাজশাহী, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, রাজবাড়িসহ সারা দেশের বেশ কয়েকটি জেলার নারী উদ্যোক্তারা মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এই ৪০ জন উদ্যোক্তাকে। 

৬ নম্বর প্যাভিলিয়নটি বরাদ্দ করা হয়েছে জয়িতার জন্য। এই প্যাভিলিয়ন ৪০টি স্টল রয়েছে। এই স্টলগুলোতে বিভিন্ন বুটিক ও খাবার সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। মসলিন শাড়ি, জামদানি এপলিকের কাজ করা শাড়ি, হাতের কাজের শাড়ি, থ্রি-পিস, ওয়ান-পিস, নকশি কাঁথা, বেডকভার, পিলোকভার প্রভৃতির জন্য স্টল রয়েছে ৩২টি। পাশাপাশি বিভিন্ন ড্রাই ফুড সামগ্রীও পাওয়া যাচ্ছে। হাতে তৈরি নারু, চিরা ও মুরির মোয়া, তেল, ঘি, ড্রাই পিঠা, চিপস প্রভৃতি খাবার বিক্রির জন্য রয়েছে ৮টি স্টল।

বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা গেলো, মনকাড়া সব হাতের কাজের সামগ্রী আর হাতে তৈরি করাসহ বাইরের কিছু খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কোন কোন স্টলে বসেছেন উদ্যোক্তারা নিজেরাও। 

ক্রেতার আনাগোনা বেশ ভালোই দেখা গেলো স্টলগুলোতে। তারা শুধু পণ্য নেড়েচেড়ে দেখছেনই না কিনছেনও নিচ্ছেন কেউ কেউ।

গাজীপুর থেকে আসা কলেজ ছাত্রী পিয়া বলেন, তিনি ধানমন্ডির রাপা প্লাজার জয়িতার কয়েকটা স্টল থেকে এর আগেও বেশ কিছু ড্রেস নিয়েছেন। এখানকার ড্রেসের মান বেশ ভালো। টেকসই যেমন হয় তেমন রঙও ওঠে না। আবার দামেও সাশ্রয়। এজন্য তিনি মেলা থেকেও কয়েকটা পোশাক নেবেন বলে জানালেন।

পণ্য বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে রাজিয়া বেগম নামের একজন উদ্যোক্তা জানান, বিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে। আশা করছি সামনে আরো বেশি বিক্রি হবে। 

তিনি আফসোস করে বলেন, তবে ক্রেতাদের মধ্যে কেউ কেউ কোন কোন পণ্যের মূল্য উৎপাদন মূল্য থেকেও অনেক বেশি কম বলেন।

পণ্যের দামের উপর ছাড় ও গুণগত মান নিয়ে কথা হলো এসএন বুটিকসের মালিক উদ্যোক্তা নাছিমা আক্তারের সাথে। তিনি জানালেন, পণ্যের গুণগত মান বজায় রেখে মেলা উপলক্ষ্যে প্রায় প্রতিটি পণ্যতেই আনা হয়েছে নতুনত্ব। পাশাপাশি চলতি বাজার মূল্য থেকে প্রতিটি পোশাকেই দু’শ তেকে তিন’শ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

জয়িতার প্রায় সব স্টলের উদ্যোক্তারাই বরাবরের মতো এবারও পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ভালো লাভের আশা করছেন। 

প্রসঙ্গত দুস্থ নারীদের সহায়তার উদ্দেশ্যে ২০১১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় জয়িতা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হয়।

সেই থেকে এই ফাউন্ডেশন নারী বান্ধব ব্যবসার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। প্রয়োজনে দুস্থ নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তাও দিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠান।

বর্তমানে এই ফাউন্ডেশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা  অঙ্গীকার অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম সবগুলো বিভাগ, জেলা ও উপজেলাতে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

ধানমন্ডির রাপা প্লাজার চতুর্থ ও পঞ্চম তলাতে আছে জয়িতার মূল বিপণন কেন্দ্র।