ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:২১:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পর্যটক পাঠাবে নাসা: খরচ পড়বে ৫০৭ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩১ পিএম, ৯ জুন ২০১৯ রবিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

এক সময় এটি ছিল অনেকের জন্য অনেক দূরের স্বপ্ন। কিন্তু সামনের বছরেই এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে পারে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পর্যটক পাঠাবে। সেখানে থাকা এবং যাওয়া-আসা, সব মিলিয়ে খরচ পড়বে পাঁচ কোটি আশি লাখ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৫০৭ কোটি ১৭ লাখ।

তবে নাসা জানিয়েছে, খুব অল্প সংখ্যাক পর্যটকই প্রতি বছর সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। নাসা ঘোষণা করেছে যে, ২০২০ সাল হতে পর্যটকরা এবং ব্যবসায়ীরা মহাকাশে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রাত কাটাতে পারবেন। প্রতি রাতের ভাড়া দিতে হবে ৩৫ হাজার ডলার। তবে আসল খরচ মহাকাশ স্টেশনের ভাড়া নয়, সেখানে পৌঁছানোর খরচ।

নাসার চীফ ফিনান্সিয়াল অফিসার জেফ ডেউইট বলেন, এই মূহুর্তে নাসার কোনো নভোচারী যখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান, তাদের পেছন খরচ পড়ে আট কোটি ডলার। এখন যদি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নাসা সেখানে পর্যটক পাঠাতে শুরু করে, তখন গড়ে খরচ পড়বে জনপ্রতি পাঁচ কোটি আশি লাখ ডলার।

মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছানোর পর সেখানে নানা ধরণের তৎপরতায় অংশ নিতে পারবেন পর্যটকরা। সেখানে তাদের ‘জিরো গ্রাভিটি’ অর্থাৎ ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা হবে। সেখান থেকে মহাকাশ এবং পৃথিবীর চমৎকার দৃশ্য দেখতে পাবেন এবং ব্যাডমিন্টনও হয়ত খেলতে পারবেন।

নাসা জানিয়েছে, যারা পর্যটক হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাবেন, তারা সেখানে তিরিশ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন।

নাসা দুটি বেসরকারি কোম্পানিকে ভাড়া করেছে পর্যটকদের মহাকাশ স্টেশনে আনা নেয়ার জন্য। এর একটি ইলন মাস্কের ‘স্পেস এক্স’। এরা তাদের ড্রাগন ক্যাপসুল ব্যবহার করবে পর্যটকদের পরিবহণের কাজে। আরেকটি হচ্ছে বোয়িং। স্টারলাইনার নামে একটি মহাকাশযান তৈরি করছে এই কাজে।

ধারণা করা হচ্ছে মহাকাশ স্টেশনে কোন পর্যটককে পৌঁছে দেয়া এবং ফিরিয়ে আনা বাবদ ছয় কোটি ডলার ভাড়া দিতে হবে এই দুটি কোম্পানিকে। তবে পর্যটক হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার আগে খুবই কঠোর শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে সবাইকে। নাসা আশা করছে, পর্যটকদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ তারা মহাকাশে আরও গবেষণা এবং নতুন অভিযানে খরচ করতে পারবেন।

নাসার একজন কর্মকর্তা বিল গেরস্টেনমেইনার বলেন, নীচু কক্ষপথের বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে নাসা ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে প্রথম মহিলা নভোচারী পাঠানো এবং নতুন করে চাঁদে অভিযান শুরু করার তহবিল যোগাতে পারবে। এরপর মঙ্গলগ্রহেও অভিযানের প্রস্তুতি নিতে পারবে।

৫০ বছর আগে প্রথম চাঁদে পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং। অর্ধশতক পর নাসা এখন মহাকাশের বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে আরেকটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।

-জেডসি