ধর্ষণ প্রতিরোধে প্রয়োজন ‘পুরুষ সমাবেশ’
রুমি আক্তার পলি
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৪৫ এএম, ১২ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
রুমি আক্তার পলি
অপরাধী শাস্তি না পেলে সে বার বার অপরাধমূলক কাজ করতে থাকে। যার ফলে সমাজে অপরাধ বৃদ্ধি পায় এবং এতে অন্যরা অপরাধে জড়াতে উৎসাহিত হয়।
সম্প্রতি দেশে ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ বেড়েছে আশঙ্কাজনকহারে। ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি। পুরুষের এ অপরাধের কারণে নারীরা শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। তাই ধর্ষণকারীর বিচরের মাধ্যমে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন যাতে অন্যরা ভবিষ্যতে এমন অন্যায় করার সাহস না পায়।
ধর্ষণের মতো অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার আগে নীরবতা ভেঙে এগিয়ে আসতে হবে নানা বয়সী পুরুষদের। পুরুষদের অঙ্গীকারের একটি সমাবেশের আয়োজন করতে হবে। সেই সমাবেশে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ নিয়ে সর্বস্তরের পুরুষদের জানিয়ে দিতে হবে যে,‘নারী ও মেয়ে শিশুদের প্রতি যৌন হয়রানি ও নির্যাতন করলে তাদের প্রতিরোধ করতেই হবে।’
এই সমাবেশে অবশ্যই সকল বয়সের পুরুষরা হাতে হাতে মোমের আগুনে ছড়িয়ে পড়া আলোয় সমাজের অন্ধকার দূর করে আলোকিত ভবিষ্যত রচনার অঙ্গীকার করবেন।
ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপকর্ম প্রতিরোধের জন্য জনসচেতনতা এবং এ ব্যাপারে কঠোরতম আইন প্রণয়নের জন্য প্রথমে এ ধরনের পুরুষ সমাবেশের আয়োজন করা প্রয়োজন যা সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হবে। আর এ আন্দোলনে সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করবেন।
ধর্ষণকারীরা মূলত পুরুষ এবং এর প্রধান শিকার নারী। সে কারণেই ধর্ষণ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে পুরুষদের এই সমাবেশ আয়োজনের বিকল্প নেই।
নারী ও শিশু ধর্ষণরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পুরুষ সমাজেরও একটা আওয়াজ তোলা উচিত, কিছু করা উচিত। খালি নারীরাই চিৎকার করে যাবে নাকি? নির্যাতিত হয়ে তারা চিৎকার করবে, কিন্তু নির্যাতনকারীর স্বজাতি পুরুষদেরও এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া উচিত।
রুমি আক্তার পলি, নিউজ এডিটর, দ্যা আওয়ার টাইম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক, রমনা থানা মহিলা আওয়ামী লীগ।