অমর একুশে বইমেলা: অতীত থেকে বর্তমান
উম্মেহানি | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বুধবার
![ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।](https://www.womennews24.com/media/imgAll/2019January/9jpg-02-2502050555.jpg)
ফাইল ছবি।
আমাদের ইতিহাস ও ভাষার সবচেয়ে বড় ও আবেগের এক আয়োজনের নাম অমর একুশে বইমেলা। বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর বুকে চিরস্থায়ী করতেও বাঙালির ঝরাতে হয়েছে বুকের তাজা রক্ত। বার বার যেমন এ ভূমির সার্বভৌমত্বের ওপরে আঘাত এসেছে, তেমনি আঘাত এসেছে এ দেশের মানুষের মুখের ভাষার ওপরেও।
পূর্ব পাকিস্তান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের সুদীর্ঘ পথে তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্যেকটি ঘটনার মধ্যে অন্যতমভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ১৯৫২' এর ভাষা আন্দোলন।
সেই ভাষা আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে অমর একুশে গ্রন্থমালা। হয়তো অনেকেরই গ্রন্থমেলার গৌরবমন্ডিত বর্ণাঢ্য ইতিহাস সম্পর্কে তেমন জানা নেই। তবে চলুন ভাষার এই মাসে সেই ইতিহাস মন্থন করি। ধাপে ধাপে অতীত বই মেলা কিভাবে বর্তমানে জাকজমকপূর্ণ গ্রন্থমেলার রূপ পরিগ্রহ করল তা পর্যালোচনা করা যাক।
১৯৬৫ সনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীতে (বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি) সর্বপ্রথম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এটি ছিল মূলত ‘শিশু গ্রন্থমেলা’। যার আয়োজন করেছিলেন কথাসাহিত্যিক সর্দার জয়েনউদদীন। তিনি বাংলা একাডেমিতে চাকরি করতেন, সে সময় প্রচুর ইংরেজি বই সংগ্রহিত ছিল বাংলা একাডেমিতে। ‘Wonderful world of books’ নামে একটি বই পড়তে যেয়ে চমৎকার দুটি শব্দ ‘Book ও Fair এর সাথে পরিচিত হন তিনি। উপলব্ধি করতে পারেন যে বইয়েরও মেলা হতে পারে। অনুধাবন করেন বইমেলার একটি সংস্কৃতি যদি শুরু হয় গোটা জাতির জন্য তা ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে। ফলস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীর নিচতলায় বইয়ের ছোটখাটো একটি মেলা বা প্রদর্শনীর আয়োজন করেন।
এই আয়োজনের বইগুলো ছিল 'শিশুতোষ'। কারণ ওই সময়ে তিনি শিশু-কিশোরদের গ্রন্থ বিষয়ক একটি কাজে ইউনেস্কোর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। রেকর্ড অনুসারে এটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বইমেলা ও এর মূলে ছিলেন সর্দার জয়েনউদদীন
১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে আরেকটি বইমেলার আয়োজন করেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ ক্লাব তাকে সাহায্য করেছিলো এক্ষেত্রে। সে মেলায় বই কেনা-বেচা বেশ ভালোই হয়েছিলো। তবে ভালো কেনাবেচার পেছনে একটি কারণ ছিল জয়েনউদদীন সেবার বইমেলায় একটি গরুকে বেঁধে দেন। গরুর গায়ের উপরে লিখে দেন 'আমি বই পড়ি না'।
লেখাটি দিয়ে প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্নভাবে তিনি এরকম একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, যে সব মানুষ বই পড়ে না তারা আদতে গরু-সদৃশ্য প্রাণী। এই ডার্ক হিউমারের জন্য অনেকে লজ্জায় বই কিনতে আগ্রহী হয়েছিলো। এ মেলায় আলোচনা সভারও ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। যাতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৎকালীন প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল হাই, শহীদ অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ও সরদার ফজলুল করিম।
বাংলাদেশে বইমেলার একটি সংস্কৃতি তৈরির ক্ষেত্রে সরদার জয়েনউদদীনর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি বাংলা একাডেমীর ভেতরে ১৯৭২ সালে একটি বইমেলার আয়োজন করেছিলেন। ইউনেস্কোর উদ্যোগে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সালকে বিশেষ বর্ষ হিসেবে উদযাপন করা হয়। তেমনি ১৯৭২ সাল ছিল ‘আন্তর্জাতিক গ্রন্থ বর্ষ’। আন্তর্জাতিক গ্রন্থ বর্ষ উপলক্ষে এই গ্রন্থ মেলার আয়োজন করেছিলেন তিনি। বইমেলা সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে বাংলা একাডেমীর সম্পৃক্ততা তখন থেকেই শুরু।
অপরদিকে ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তধারা প্রকাশনীর চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউস প্রাঙ্গণের বটতলায় একটি চটের ওপর কলকাতা থেকে আনা ৩২টি বই সাজিয়ে বিক্রির জন্য বসেন। এই ৩২টি বই ছিল চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ (বর্তমান মুক্তধারা প্রকাশনী) থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশের শরণার্থী লেখকদের লেখা।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সে বছর বাংলা একাডেমি কম মূল্যে বই বিক্রি করেছিলো। সে সময় চিত্তরঞ্জন সাহার স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ (মুক্তধারা প্রকাশনী) ছিল একমাত্র বেসরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। তখন একাডেমির ভেতরের পূর্ব দিকে দেয়াল ঘেষে বই সাজিয়ে বসেন বর্ণ মিছিলের তাজুল ইসলামসহ আরও কিছু প্রকাশক। পরের কয়েক বছরে একই নিয়ম চলতে থাকে।
১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমি মেলা উপলক্ষে ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ হ্রাসকৃত মূল্যে নিজেদের প্রকাশিত বই বিক্রির ব্যবস্থা করে। এর পাশাপাশি মুক্তধারা, স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্স ও তাদের দেখাদেখি আরো অনেকে বাংলা একাডেমির মাঠে নিজেদের বই বিক্রির উদ্যোগ নেয়।
১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমী ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে বাংলা একাডেমী তার নিজস্ব প্রকাশিত বই প্রদর্শন ও ম্যুরাল প্রদর্শনীর আয়োজন করে। বই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রফেসর আবু মহাম্মেদ হবীবুল্লাহ।
ঐ গণজমায়েতকে সামনে রেখে ঢাকার বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান একাডেমীর পূর্বদিকের দেয়াল বরাবর নিজেদের পছন্দমতো জায়গায় যে যার মতো কিছু স্টল নির্মাণ করে বই বিক্রির ব্যবস্থা করে। এতে বাংলা একাডেমীর কোনো ভূমিকা ছিলো না। শুধু মাঠের জায়গাটুকু দেওয়া ছাড়া।
১৯৭৫ সালে একাডেমী মাঠের কিছু জায়গা চুনের দাগ দিয়ে প্রকাশকদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়। প্রকাশকরা যে যার মতো স্টল তৈরি করে বই বিক্রির ব্যবস্থা করে। এ অবস্থা চলতে থাকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত।
এ সময় পর্যন্ত এই আয়োজনের কোনো স্বীকৃতি ছিলো না। কোনো নামও দেওয়া হয়নি। সংবাদপত্রের প্রতিবেদনেও এর কোনো উল্লেখ থাকতো না। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমীর অনুষ্ঠান সূচিতেও এই কার্যক্রমের কোনো উল্লেখ করা হয়নি।
১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমীর তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমীকে মেলার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত করেন।
১৯৭৯ সালে মেলার সঙ্গে যুক্ত হয় ‘বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি’। এই সংস্থাটিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। মেলার তখন নাম ছিলো একুশে গ্রন্থমেলা। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এই নিয়মেই ‘একুশে গ্রন্থমেলা’ পালিত হয়।
১৯৮১ সালে একুশে গ্রন্থমেলায় পরিবর্তন আনে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। ‘একুশে গ্রন্থমেলা’র মেয়াদ কমিয়ে ২১ দিনের পরিবর্তে ১৪ দিন ধার্য করে বাংলা একাডেমি। কিন্তু প্রকাশকরা বাংলা একাডেমির এ সিন্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি। তারা বাংলা একাডেমির এ সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে দাবি তুলে ধরে।
প্রকাশকদের এ দাবির মুখে ১৯৮২ সালে ‘একুশে গ্রন্থমেলা’র মেয়াদ আবারও বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়ে। ফের মেলার মেয়াদ ২১ দিন করা হয়। উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলা একাডেমি সে মেলার আয়োজন করে। ১৯৮২ সালের ঐ মেলায় সহযোগি হিসেবে ছিল ‘জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’।
১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি পুনরায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন করে। ৫২ র ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি আরো গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শনের লক্ষ্যে বাংলা একাডেমি ‘একুশে গ্রন্থ মেলার’ পরিবর্তে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামকরণ করে ১৯৮৩ সনে। যা ১৯৮৪ সাল থেকে বাস্তবায়িত হয়।
সেই সাথে প্রকাশকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হয়, মেলার পরিসরও বাড়তে থাকে। আস্তে আস্তে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’র বিভিন্ন ফিচার, সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে। এক সময় পাঠক এবং প্রকাশকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯৮৪ সালেই বইমেলার সময়কাল বাড়িয়ে পুরো মাস ব্যাপি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাংলা একাডেমি।
২০১৪ সালে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’য় স্টলের সংখ্যা বাড়িয়ে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানে তা স্থানান্তরিত করে।
বইমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি তিনটি পুরষ্কার প্রদান করে থাকে। ১. চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার ২. সরদার জয়েনউদদীন স্মৃতি পুরস্কার ৩. পলান সরকার স্মৃতি পুরস্কার।
২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে গ্রন্থমেলার অন্যতম কাণ্ডারি চিত্তরঞ্জন সাহার নামে প্রথম পুরষ্কারটি প্রবর্তন করা হয়েছে। আগের বছর প্রকাশিত সেরা মানের বইয়ের জন্য সেরা প্রকাশককে এই পুরস্কার দেয়া হয়। আর গ্রন্থমেলার স্টল নির্মাণ ও অঙ্গসৌষ্ঠবের জন্য সেরা স্টলকে ২ নম্বর পুরষ্কারটি প্রদান করা হয়। ৩ নম্বর পুরষ্কারটি নির্ধারিত আছে সেরা ক্রেতার জন্য। মেলায় সর্বাধিক পরিমাণ বই কিনবে যে ব্যক্তি তাকে দেয়া হয় পলান সরকার স্মৃতি পুরষ্কার।
বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার পেছনে অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রভাব ব্যাপক। অতীত থেকে বর্তমান এই পরিক্রমায় বইমেলার চাহিদা ও এর জনপ্রিয়তা পাঠক শ্রেণীর নিকট যে কতটা বেড়েছে তা বিগত কিছু বছরের বই বিক্রির পরিমাণ পর্যালোচনা করলেই বোঝা যায়। যেমন: ২০২৪ সালে বইমেলায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে, ২০২৩ একুশে বইমেলায় বিক্রি হয়েছিল ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই, ২০২২ সালের একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমি ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে, করোনাকালের মধ্যে ২০২১ সালে বিক্রি হয়েছিল ৩ কোটি টাকার বই, ২০২০ সালে সাড়ে ৮২ কোটি, ২০১৯ সালে ৮০ কোটি, ২০১৮ সালের মেলায় বই বিক্রি হয়েছিল ৭০ কোটি টাকার। ২০১৭ সালে বিক্রি হয়েছিল ৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ২০১৬ সালে ৪২ কোটি, ২০১৫ সালে বই বিক্রি হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি টাকা।
এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ২০২৫ সালের অমর একুশে গ্রন্থ মেলার সকল প্রকার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে । পাঠকদের পদচারণায় ধীরে ধীরে মুখরিত হতে শুরু করেছে বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ।
সংবাদ সম্মেলনে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব সরকার আমিন জানান, এবার ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১,০৮৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যেখানে গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬টি। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে।
এবারের মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকছে, যার মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬টি।
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছতলায় করা হয়েছে, যেখানে ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিনকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শিশুদের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ শিশুচত্বরে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০ ইউনিট দেওয়া হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় বেশি।
বইমেলায় বাংলা একাডেমির ৪৩টি নতুন বই ও ৪১টি পুনর্মুদ্রিত বই প্রকাশিত হবে। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকরা ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবেন। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় মূল মঞ্চে সেমিনার ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
বইমেলার সময়ে যে পরিমাণ বই প্রকাশিত হয় তার অর্ধেক পরিমাণ বই ও বাকি মাসগুলোতে প্রকাশিত হয় না। প্রকাশনা, ছাপাখানাগুলোতে পা ফেলার অবকাশ থাকে না এই সময়ে। এ থেকে ধারণা করা যায়, বাঙালির মনেপ্রাণে অমর একুশে বই গ্রন্থমেলা কতটুকু জায়গা দখল করে রয়েছে। মেলার সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত হোক। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও হামলা শূন্যের কোঠায় নেমে আসুক এটিই পাঠকদের প্রত্যাশা
- অবশেষে তাহসানের বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা
- সাগর-রুনি হত্যার বিচার নিয়ে যা বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা
- লন্ডনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে যা জানা গেল
- যমুনা রেলসেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
- দুই বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস
- বইমেলায় তসলিমার বই নিয়ে স্টলে উত্তেজনা, যা হয়েছিল
- বৃহস্পতিবার ১৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- চলে গেলেন প্রখ্যাত স্থপতি লাইলুন নাহার একরাম
- আজও ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
- দেড় লাখ ছুঁয়েছে স্বর্ণের ভরি
- বিমানের ভাড়া নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র জারি
- বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর
- আশুলিয়ায় দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- বইমেলার স্টলে হামলায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ
- রাজবাড়ীতে হালি পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
- জুরিবোর্ডে ইলিয়াস কাঞ্চন ও বাঁধন
- ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিভা গ্রেপ্তার
- ফেসবুকে কত ভিউ হলে কত টাকা আয় হয়?
- মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে: গভর্নর
- ভয়ংকর মাদকে আসক্ত তিশা-টয়া-সাফা!
- নারী ক্রিকেটে জ্যোতির ইতিহাস
- এই শীতেও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খাচ্ছেন তো?
- বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপ নিয়ে গেল ভারত
- ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টাইগারদের সিরিজ জয়
- দেশীয় ওটিটিতে জয়া আহসান
- অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে সুপার ফোরে বাংলাদেশ
- সংসার পাততে সপরিবারে ভারত ছাড়ছেন কোহলি
- প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে স্মৃতি মান্ধানার কীর্তি
- নগরীর অভিজাত তারকা হোটেলে ক্রিসমাস
- রাজধানীতে বুধবার যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ