ঢাকা, সোমবার ৩০, ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২৮:০৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনই আসল সরকার: ইউনূস আ.লীগ নিষিদ্ধ না হলে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই: সিইসি পর্যটক সমাগমে মুখরিত রাঙামাটি পঞ্চগড়ে আবারও ১০ ডিগ্রির নিচে নামল তাপমাত্রা আলোচিত সেই পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা সাময়িক বরখাস্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন

আজ নাটোর মুক্ত দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আজ ২১ ডিসেম্বর, নাটোর মুক্ত দিবস। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা হানাদার মুক্ত হলেও নাটোর মুক্ত হয় ২১ ডিসেম্বর। নাটোর ছিল পাক হানাদারদের ২ নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টার। এখান থেকেই দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের যুদ্ধ পরিচালনা করতো পাকবাহিনী। ২১ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত পুরো নাটোর ছিল তাদের দখলে।

নাটোরের উত্তরা গণভবন ছাড়াও আনসার হেডকোয়ার্টার, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কলেজ, রাণী ভবানী রাজবাড়ি, পিটিআই ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ছিল পাকসেনাদের নিরাপদ ঘাঁটি। মুক্তিযুদ্ধে নাটোরে বড় ধরনের কোনো লড়াই না হলেও একাধিক স্থানে চালানো হয় গণহত্যা। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস পাক হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদররা নাটোর সদর উপজেলার ফুলবাগান, ফতেঙ্গাপাড়া, ছাতনী, দত্তপাড়া, মোহনপুর, লালবাজার, কাপুড়িয়াপট্টি, শুকলপট্টি, মল্লিকহাটি, বড়াইগ্রামের বনপাড়া ক্যাথলিক মিশন, গুরুদাসপুরের নাড়িবাড়ি, সিংড়ার হাতিয়ানদহ, কলম এবং লালপুর উপজেলার গোপালপুরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল চত্বরে ব্যাপকভাবে গণহত্যা চালায়।

দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান পাক হানাদার মুক্ত হলেও নাটোর মুক্ত হয় ২১ ডিসেম্বর। ২১ ডিসেম্বর তৎকালীন গভর্নর হাউস বর্তমান উত্তরা গণভবনে মিত্রবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার রঘুবীর সিং পান্নুর কাছে পাক সেনা গ্যারিসনের টু আইসি ব্রিগেডিয়ার নওয়াব আহমেদ আশরাফের নেতৃত্বে পাক সেনাবাহিনীর অফিসার, জেসিও এবং মিলিশিয়াসহ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার সৈন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন। সেই সময় নাটোর সেনা গ্যারিসনের কমান্ডেন্ট মেজর জেনারেল নজর হোসেন শাহ ও মিত্রবাহিনীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডেন্ট লে. জেনারেল লছমন সিং।

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের পর পাকসেনাদের ট্যাংক, কামানসহ প্রায় ১১ হাজার অস্ত্র মিত্রবাহিনীর হস্তগত হয়। আত্মসমর্পণের খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলে আনন্দে বিজয় উল্লাসে রাস্তায় বেরিয়ে আসে সাধারণ মানুষ। উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হন সবাই।